ওসির নাম্বার ক্লোন, তিন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:০৯ | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:০০

ডিএমপির দুই থানার ওসির মুঠোফোন ক্লোন করে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিন কাউন্সিলর প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতারক চক্রটি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও থানার ওসিদের নম্বর ক্লোন করে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

রবিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- চক্রের মূলহোতা সাইদুল ইসলাম বিপ্লব ও তার সহযোগী পলাশ ইসলাম।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন অপারেটরের ২৯টি সিম, মোবাইল, ব্যাংকের চেক, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ১২শ মার্কিন ডলার।

মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রওশানুল হক সৈকত ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাশেমকে এবং ২২ জানুয়ারি একই ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লাকে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জিতিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় প্রতারকরা। বিনিময়ে দুজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা। দুই প্রার্থী টাকা দিতে রাজি হন। তাদের মধ্যে আবুল কাশেম সাত লাখ এবং ইয়াছিন মোল্লা পাঁচ লাখ টাকা বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করেন।

দুদিন পর ২৪ জানুয়ারি ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ডেইজি সারোয়ারকে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নম্বর থেকে ফোন দেওয়া হয়। তার কাছেও মোটা অংকের টাকা দাবি করে প্রতারকরা। তিনিও একই কায়দায় পাঁচ লাখ টাকা দেন। পরে দ্বিতীয় দফায় আবারো টাকা চাইলে ওই তিন প্রার্থী বুঝতে পারেন যে, তারা প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তারা পৃথকভাবে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। তিনজনই এই ঘটনায় মামলা করেন।

এসি রওশানুল হক বলেন, ‘মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার ওসির নম্বর স্পুফিং (কল স্পুফিং হলো প্রকৃত নম্বর গোপন রেখে অন্য এক ব্যবহারকারীর নম্বর অথবা বিশেষ কোনো নম্বর দিয়ে কল করার প্রযুক্তি) করে চক্রটি তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনার অনুসন্ধানে মাঠে নামে পুলিশ। ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসব বেশ কয়েকটি জেলায় অভিযান চালানো হয়। শনিবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে প্রথমে সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলাশ ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

চক্রটি বিশেষ দুটি অ্যাপস ব্যবহার করে ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর স্পুফিং করে ৮১১টি প্রতারণা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

চুরির মামলা তদন্তে নেমে একে একে মিলল ৫ অস্ত্র

শিল্পী পরিচয়ে ভয়ংকর মাদক কারবারে গায়ক রেবেল, কাজ করতেন ‘ভাইজানের’ হয়ে

২৮ অক্টোবর অছিম পরিবহনে ছাত্রদলনেতার আগুনে প্রাণ যায় নাঈমের, যেভাবে রহস্য উদঘাটন

কেরাণীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার 

সোনালী লাইফের বহিষ্কৃত সিইও মীর রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

চাকরির পরীক্ষার আগেই মিলত উত্তর, চুক্তি ১২-১৪ লাখ টাকায়: ডিবি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার, বিপুল কনটেন্ট জব্দ

এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা: ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :