জয়পুরহাটে পাঁচবিবি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আ. লীগের ৫ প্রার্থী 

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২০ | প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১২

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে ছয়জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী একজন। এ কারণে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী হওয়ায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে মাঠে নামবেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুল শহীদ মুন্না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবু বকর ছিদ্দিক মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম বেনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মণ্ডল ও শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে আবু বকর ছিদ্দিক মণ্ডল ও সুমন চৌধুরী আপন শ্বশুর- জামাই বলে জানা গেছে। তবে একই পদে আপন শ্বশুর-জামাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন প্রার্থী রয়েছে এমপি দুদুর অনুসারী। একজন প্রার্থী মেয়র হাবিবের অনুসারী।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত রয়েছেন। যার একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, অন্য অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র আলহাজ হাবিবুর রহমান হাবিব। পাঁচবিবি উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের বিভক্তির প্রভাব গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দৃশ্যমান হয়েছে। এবার প্রতীক হিসেবে নৌকা না থাকায় জটিল হয়ে উঠেছে এই সমীকরণ। প্রার্থী উন্মুক্ত থাকায় ‘নিজের লোককে’ই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বসাতে চান এমপি-মেয়র। এ কারণে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একে অপরের ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী। অপরদিকে চেয়ারম্যান পদে নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা। তিনিও নির্বাচনি মাঠে আলোচনায় আছেন।

পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ মণ্ডল বলেন, এমপি-মেয়রদের মনোনীত প্রার্থী থাকতেই পারে। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনের ইচ্ছে ছিল যে, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় লোক নির্বাচিত হলে তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও পায়নি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

তিনি আরো বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে যারা নৌকা মার্কার প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য দিন রাত কাজ করেছে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কোনোদিন তাদের সমর্থন করবেনা।

পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ কারণে দলীয় প্রতীক নেই। প্রার্থী উন্মুক্ত করেছেন। আগামী নির্বাচনে পাঁচবিবি উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুল শহীদ মুন্নাকে আবারও জনগণ ভোট দিবে। তার জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ দুই হাজার ৬১৮ জন, পুরুষ ভোটার এক লাখ দুই হাজার ২৫ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তিনজন।

(ঢাকা টাইমস/২৯এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :