‘তাপস পালের মৃত্যু হাসপাতালের গাফিলতিতে’

বিনোদন ডেস্ক
| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২০, ১৩:৫২ | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০২০, ১২:৫৮

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের বান্দ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা এবং সাবেক সংসদ সদস্য তাপস পাল। ১৫ দিন বাদে ভারতীয় একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতার স্ত্রী নন্দিনী পাল অভিযোগ করলেন, তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে ওই হাসপাতালের গাফিলতিতে। এ জন্য তিনি ন্যায়বিচার দাবি করেন।

প্রয়াত অভিনেতা তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী পাল বর্তমানে মুম্বাইয়ে রয়েছেন। সেখান থেকে ফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, ‘আমার স্বামীকে বান্দ্রার ওই হাসপাতাল মেরে ফেলেছে। আমি তারই ন্যায়বিচার চাইতে মুম্বাইয়ে এসেছি।’

নন্দিনী জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ তাপস পালকে তিনি বান্দ্রার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অভিযোগ, তাপসের অসুস্থতা সম্পর্কে বলতে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তা শুনতে রাজি হননি। উল্টো বলেন, রোগীর ‘পাস্ট হিস্ট্রি’ শুনতে তিনি উৎসাহী নন।

নন্দিনী বলেন, অসুস্থ তাপস পালকে দেখে ওই চিকিৎসক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন উনাকে হাসপাতালে এনেছেন? এমনকি ৫০ হাজার টাকা জমা না করলে তাপসের চিকিৎসা শুরু করা হবে না বলেও হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। কিন্তু মাঝরাতে অত টাকা না থাকায় মেয়ের বাড়িওয়ালার সাহায্যে টাকার বন্দোবস্ত করে তাপসকে আইসিইউতে দিতে হয়।’

নন্দিনীর দাবি, ‘৭ ফেব্রুয়ারি তাপস পালের ভেন্টিলেশন খুলে দেয়া হয়। তাপস তখন একেবারেই সুস্থ ছিলেন। ও আমার দিকে তাকিয়ে হেসেছিল। বলেছিল, বাপরে তুমি যা করলে! আমি বলেছিলাম, তুমি একদম ঠিক আছো।’

এর পর থেকেই সমস্যা শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন নন্দিনী। বলেন, ঠিকমতো খেতে দেয়া হত না তাপসকে। নার্সরা ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার এনে খাওয়াতে বলতো। এ নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে একদিন নার্সদের ঝামেলাও হয়।

তার আরও দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আবার অসুস্থ হয়ে যান তাপস পাল। বলেন, ‘আমার সম্মতিতেই ডায়ালিসিস শুরু হয়। হঠাৎ দেখি তাপসকে একদিন বেঁধে রেখেছে। কারণ জানতে চাইলে ওরা বলে, ‘এখন শিফ্টিং চলছে। উনাকে কারও নজরে রাখা সম্ভব নয়।’

নন্দিনী আরও অভিযোগ করেছেন, তাপস পালের প্রস্রাব স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও তাকে ক্যাথিটার পরিয়ে রাখা হয়। এই পরিস্থিতিতেই তারা ঠিক করেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি তাপসকে নিয়ে কলকাতায় ফিরবেন। কিন্তু সেদিন রাতেই সব ওলটপালট হয়ে যায়।

নন্দিনী জানান, ‘ওইদিন হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় তাপস পালের হিমোগ্লোবিন কমে ৩.৫ হয়ে গেছে। অথচ সকালেই তাপসের হিমোগ্লোবিন ৯ ছিল। আশ্চর্য বিষয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওকে রক্ত না দিয়ে আমাদের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল। এরপর পর পর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। সিনিয়র কোনো ডাক্তার নেই।’

এই গোটা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন নন্দিনী। তিনি বলেন, ‘তাপসের সম্পর্কে এত অন্যায়, এত ভুল কথা শুনতে হয়েছে যে, মেয়ে এবং আমি আর পেরে উঠছি না। তবে এই মৃত্যুর বিচার আমি চাইবই। ছাড়ব না।’

ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :