হাতুড়ির আঘাতে ৭০ জনকে হত্যা সিরিয়াল কিলারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৫:৫৫
অ- অ+

কানের নীচে হাতুড়ি অব্যর্থ আঘাত। ওখানেই শেষ জীবন। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়তেন অসহায় শিকার। মাত্র এক বছরে এই নৃশংস উপায়ে ৭০ জনকে হত্যা করেছিল এক যুবক। ভারতের অপরাধ ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার পরিচিত ‘কানপাতিমার শঙ্করিয়া’ নামে। তার খুনের ধরনের জন্যই এই নামকরণ।

শঙ্করিয়া সম্বন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। তার জন্ম হয়েছিল রাজস্থানের জয়পুরে, ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি। ১৯৭৭ সালে আচমকাই জয়পুর শহরে বেড়ে যায় খুনের ঘটনা। পথের ধারে উদ্ধার হতে থাকে মৃতদেহ। সবক্ষেত্রে খুনের ধরন একই রকম। কানের লতির ঠিক নীচে ভারী অস্ত্রের আঘাত। তদন্তকারী পুলিশের বুঝতে অসুবিধে হয়নি প্রত্যেকটি একই ঘাতকের কাজ।

কয়েক মাস পরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে সিরিয়াল কিলার। তার স্বীকারোক্তি ছিল শিউরে ওঠার মতো। পুলিশকে সে জানিয়েছিল, গভীর রাতে সে অপেক্ষা করত জয়পুরের নির্জন পথের ধারে। অপেক্ষা করত কখন সে পথে হাঁটবে একা কোনও পথচারী।

একা পথচারী নির্জন রাস্তায় এলেই আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে কানের নীচে হাতুড়ির আঘাত করত। এতই নিখুঁত ছিল নিশানা, মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ হারাত সেই ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, জেরায় শঙ্করিয়া স্বীকার করেছিল, এক বছরে সে ৭০ জনের প্রাণ নিয়েছিল।

ধরাশায়ী করার পরে হাতুড়ি আঘাতে যখন শিকার লুটিয়ে পড়ত যন্ত্রণায়, তখন নাকি অদ্ভুত আনন্দ হত তার। পুলিশকে এ কথা নিজেই জানিয়েছিল শঙ্করিয়া। এই অনুভূতির নেশাতেই রোজ রাতে হাতুড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ত সে। ১৯৭৯ সালের ১৬ মে মৃত্যুদণ্ড হয় কানপাতিয়া শঙ্করিয়ার। তখন তার বয়স হয়েছিল ২৭ বছর।

ফাঁসির আগে এই সিরিয়াল কিলার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল। মৃত্যুর আগে অনুতপ্ত হয়ে বলে গিয়েছিল, সে নিজের জীবন নষ্ট করেছে। আর যেন কেউ এই পথে না আসে। আনন্দবাজার

ঢাকা টাইমস/৩০মার্চ/একে

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
লেবাননে ১০ কোটি ডলারের বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা: এখনো ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানতে পারেনি র‍্যাব
কুমিল্লায় অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা