করোনায় মৃত্যু ৪২ হাজার ছাড়ালো, আক্রান্ত সাড়ে ৮ লাখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল ২০২০, ০৮:১৪| আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৫৫
অ- অ+

বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। বুধবার সকাল পর্যন্ত করোনায় নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ১৫১ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ জন। অপরদিকে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও এখন ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ৫৩০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৮৯ জনের

মৃত্যুর দিক দিয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইতালি। দেশটি যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ইতালিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪২৮ জনের। এরপরই রয়েছে স্পেন। সেখানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৮৪৬৪ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৯২৩ জন। এ তথ্য জানিয়েছে করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটার।

চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত আড়াই মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

এই ভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৫১৮ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ৩০৫ জন। তবে এখন চীনে এই হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। গত কয়েকদিনে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। যে উহান থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে সেখানের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

ঢাকা টাইমস/০১এপ্রিল/একে

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভোটের মাঠে বিএনপির জনপ্রিয়তা এখনো সবচেয়ে বেশি: মান্না
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩১৭ জন 
সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ: নাহিদ ইসলাম
আমাদের সংগ্রাম আওয়ামী হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে: জাগপা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা