হাতের নাগালেই রোগ প্রতিরোধের উপাদান

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২০, ০৮:৫৪
অ- অ+

মহামারি করোনাকে রুখে দিতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীর দুর্বল থাকলে ধরবে ওই রোগ। চিকিৎসকরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায়। তার জন্য হাতের কাছেই রয়েছে হলুদ, জিরে, গোলমরিচ, তুলসি। এই ভেষজ উপাদানগুলোর সাহায্যে শরীরকে নীরোগ রাখা যায়।

আয়ুর্বেদাচার্য ডা. অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বললেন, ‘‌সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ দুধে এক গ্রাম হলুদ মিশিয়ে খেলে অ্যালার্জি ও জীবাণু সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষমতা বাড়ে। ‌কাঁচা হলুদ বয়স অনুযায়ী আধ গ্রাম থেকে পাঁচ গ্রাম চিবিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার হয়। যারা শুধু হলুদ খেতে পারেন না, তারা আখের গুড় দিয়ে খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে গুড় চলবে না। করোনার আবহে প্রতিটি রান্নায় হলুদ দেয়া উচিত।’

হলুদের এই গুণের খবর রাখেন শচীন তেন্ডুলকার। তিনি রোজ সকালে খালি পেটে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খান।

হজমশক্তি বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকখানি বেড়ে যায়। আয়ুর্বেদাচার্য ডা. রবীন আদকের কথায়, ‘খাওয়ার পর আধ চামচ থেকে এক চামচ হালকা ভাজা জিরে খেলে হজমশক্তি বাড়ে, খিদে বাড়ে। গ্যাস–অম্বল কমে। ঘুম ভালো হয়। তরকারিতে গোলমরিচ দিলে বা গোলমরিচ যেকোনো উপায়ে খেলে হজমশক্তি বাড়ে।’

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, ওজন অনুযায়ী আধ থেকে এক চামচ পর্যন্ত চ্যবনপ্রাশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত, হালকা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত সকালে তুলসি, দারচিনি, শুকনো আদা, গোলমরিচ ফুটিয়ে চায়ের মতো করে খেলে খুবই উপকার পাবেন। যে পরিমাণ তুলসি দেয়া হবে, তার অর্ধেক দারচিনি, অর্ধেক শুকনো আদা এবং শুকনো আদার অর্ধেক গোলমরিচ দিতে হবে। এই মিশ্রণ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতেও কাজে দেবে। ভিটামিন সি–এর জন্য খাওয়ার সময় একটুকরো পাতিলেবু বেশ ভালো কাজ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাই সুষম খাদ্যাভ্যাস। ডায়েটিশিয়ান প্রিয়াঙ্কা রানার মতে, ‘‌ইমিউনিটি বাড়াতে রোজকার খাদ্য–তালিকায় রাখতে হবে প্রোটিন। যেমন মাছ, মাংস, ডাল, দুধ, সয়াবিন। মুসুর ডালের জল খুব উপকারী। চাল, ডাল, আলু, সবজি একসঙ্গে খিচুড়ির মতো খেলে পেটও ভরে, প্রয়োজনীয় ক্যালরিও পাওয়া যায়। রান্নায় হলুদ, জিরে, রসুন, লবঙ্গ এবং গোলমরিচ ব্যবহার করা জরুরি। ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুব কার্যকরী।’

করোনা সংক্রমণ হলে যতটা না শারীরিক ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মানুষ ভয় পেয়ে যান বলে। মানসিক দৃঢ়তা আনতে শরীরচর্চার একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যোগ ন্যাচারোপ্যাথি পর্ষদের সভাপতি ড.‌ তুষার শীল বলেন, ‘‌রোজ সকালে যে কোনও আসন, প্রাণায়াম, ধ্যান মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। আমাদের শরীরের ফুসফুসে বায়ু ধারণ করার ক্ষমতাও বাড়ে। ন্যাচারাল কিলার সেলের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়।’

যোগাসন প্রশিক্ষক রিনা কর্মকার বলেন, ‘‌ভোরবেলা খালি পেটে বিশুদ্ধ অক্সিজেন শরীরে নেওয়া গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। সে জন্য অন্তত ১৫ মিনিট প্রাণায়াম করতে হবে। বাকি ১৫ মিনিট ঘাড়, কোমর, পায়ের জোর বাড়াতে ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে হবে। জানুশিরাসন, পবনমুক্তাসন, গোমুখাসন, বীক্ষাসন নিয়মিত করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়ে।’

(ঢাকাটাইমস/০৫জুন/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করল যুক্তরাজ্য
বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক: এএসপি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ১৬২ জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি  
অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিতে বৈষম্যের অভিযোগ: মেধা তালিকায় নাম থাকলেও পদবঞ্চিত অনেকেই
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা