ভৈরবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:২৩
অ- অ+

কিশোরগঞ্জের ভৈরব সার্কেলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মাসুদুর রহমানের রোষানলে পড়ে শিরিনা বেগম নামে এক গৃহবধূ ৪০ দিন হাজতবাসে ছিলেন। তিনি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ছনছাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার স্ত্রী। তিনি ৪০ দিন পর গত ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

শিরিনা বেগমের অভিযোগ, গত কুরবানির ঈদের দুদিন আগে ৩০ জুলাই মাদকদ্রব্য অফিসের পরিদর্শক মাসুদুর রহমান দুজন অফিস সহকারীকে নিয়ে শিরিনার বাসায় অভিযান চালায়। তার স্বামী খোকন মিয়া তখন বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় মাসুদুর রহমান একজন সোর্সকে দিয়ে এক কেজি গাঁজা কিনতে শিরিনাকে অনুরোধ করেন।

শিরিনা তখন জানায়, তার স্বামী গাঁজা সেবন করলেও গাঁজার কারবার কখনও করেন না। তাই গাঁজা তিনি কেন কিনবেন! তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিদর্শক বাসায় তল্লাশি করে দুই পোটলা গাঁজা উদ্ধার দেখান। শিরিনা তখন জানায়, এই গাঁজা হয়তো তার স্বামী সেবন করার জন্য রেখে থাকতে পারেন, যা তিনি জানেন না। একথা বলার পর মাসুদুর রহমান আট মাস বয়সী কোলের শিশুসহ শিরিনাকে আটক করে অফিসে নিয়ে যায়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ছয় মাসের সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শিরিনা জানান, ঈদের আগে তাকে হাজতে পাঠানোয় তিন সন্তান ও স্বামী ছাড়া তাকে হাজতে ঈদ করতে হয়েছে। তার স্বামী রিকশাভ্যানে করে আচার বিক্রি করে সংসার চালান। একমাত্র সম্বল সেই রিকশাভ্যানটি বিক্রি তার স্বামী তাকে ৪০দিন পর জেল থেকে জামিনে মুক্ত করে এনেছেন। আট মাস বয়সী কোলের শিশুসহ বিনা অপরাধে ৪০ দিন হাজতবাস করানোর দায়ে পরিদর্শক মাসুদুর রহমানের বিচার দাবি করেছেন শিরিনা বেগম।

এর আগেও মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ভৈরব শহরের শম্ভুপুর এলাকায় মাদক অভিযানের নামে ছিনতাইয়ের অভিযোগ আছে। তখন মাদকসেবী কালা মিয়ার বাড়িতে অভিযানে গিয়ে তার মেয়ে শান্তা বেগমের বেতনের ১১ হাজার ৪০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় মাসুদ। তখন মন্ত্রণালয়সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন শান্তা বেগম।

এছাড়াও চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ এলাকার দ্বীন ইসলাম নামক এক মাদক সেবনকারীকে ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করেন। পরে তার স্ত্রীকে আটকের ভয় দেখিয়ে গরু বিক্রির ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে তার স্ত্রী সাহিদা বেগমের অভিযোগ।

মাসুদ সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে অনেককে ধরে মাদক দ্রব্য দেখিয়ে কোর্টে চালান করে। জানা যায়, মাদক নিয়ন্ত্রণ অফিসের মাসিক টার্গেট পূরণ করার জন্য এসব অভিযান পরিচালনা করেন মাসুদ।

পরিদর্শক মাসুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত, জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা