বিনাধান-১৬ সম্প্রসারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনাধান-১৬ আবাদ শুরু হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে কৃষি গবেষণা ইনস্টিউটের উদ্ভাবিত এ জাতের ধান ব্যাপক আবাদ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন বিনাধান-১৬ জাতের সম্প্রসারণের জন্য মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।

সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের মোহনপুর ব্লকের পুথাই গ্রামে এ মাঠ দিবসের আয়োজন করা। সহযোগীতায় ছিল বাংলাদেশ পরমানু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনসিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত কৃষকদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

আয়োজকরা জানান, বিনাধান-১৬ একটি স্বল্প জীবনকালীন জাত। বীজতলায় বপনের পর মাত্র ৯৬ দিনের মধ্যে এর ফসল কাটা যায়। আর প্রতি হেক্টরে পাঁচ টন ফলন দিতে সক্ষম এ বীজটি। স্বল্প সময়ে অধিক ফলন দেয়। এ জাতের ধান চাষ করে সহজেই রবি ফসল বিশেষ করে সরিষা আবাদ করা সম্ভব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুন্সী তোফায়েল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কুমিল্লার বিনা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লার বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুর রাকিব, কুমিল্লার বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অর্পিতা সেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুশান্ত সাহা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমেনা বেগম প্রমুখ। এছাড়াও এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে শতাধিক কৃষক অংশ নেন। এর আগে অতিথিরা শস্য কর্তন উদ্বোধন করেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পুথাই গ্রামের ৬০ ভাগ জমিতে এ ধানের চাষ করা হয়। প্রতি কানিতে খরচ মাত্র দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা মাত্র।

(ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/পিএল)