খড়কুটোর ঘরে রোদ-বৃষ্টির সঙ্গে অসহায় বৃদ্ধ দম্পতির বসবাস
খড়কুটোর ছোট্ট একটি ঘরে কোনোরকম বসবাস করছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। ঘরের অবস্থা এতটায়ই বেহাল যে, একটু বৃষ্টিতের তাদের ভিজে যেতে হয়।
বর্তমান সরকার জমি আছে ঘর নাই এমন অসহায় লোকদের গৃহ নির্মাণ করে দিলেও ময়মনসিংহের ত্রিশালের ৮২ বছরের অসহায় বৃদ্ধ নোমান আলীর ভাগ্যে তা জুটেনি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের সতের পাড়া গ্রামের এ বৃদ্ধ ত্রিশ বছর যাবত তার খরকুটোর ঘরটিতে বাস করে আসছেন। ঘরটি পুরাতন কাপড় ও পাতা দিয়ে বেষ্টন করে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙা খড়কুটে ঘর, ঘরের বেড়া নেই পড়নের ছেড়া কাপড় দিয়ে রোদ, বৃষ্টি ফিরানোর চেষ্টা। ঘরের ভেতর শোওয়ার জন্য একটি বাঁশের মাচা করে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে নিয়ে কোনরকম রাত কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ নোমান। রান্না করার জন্য নেই আলাদা কোন ঘর, ঘরের ভেতরেই চলে রান্নার কাজ। বৃষ্টি হলেই তাদের দুইজনকে বৃষ্টির পানিতে ভিজতে হয় অবিরাম।
বৃদ্ধা সুফিয়া কেঁদে কেঁদে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘বাবা, শীতের মধ্যে প্রতিবছর খুব কষ্ট করতে হয়। শীতের মধ্যে এত কম্বল সরকার দিল আমাদের কপালে একটাও কম্বল জোটেনি।’
সরকার যদি একটা থাহার ঘর কইরা দিত তাইলে মরার আগে শান্তি পাইতাম বলে সুফিয়া কেঁদে উঠে।
তাদের দুই ছেলে আাছে। তারাও ঢাকায় থেকে হাড়ভাঙ্গা খাটুনী খেটে দিনমজুর কাজ করে কোন রকম সংসার চালান।
সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘ছেলেদের সংসারই চলে না, আমাদের কী দিব।’
নোমান অভিযোগ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের নিকট একটা ঘরের লাইগ্যা গেলেও তারা আমার কোন কথা শুনে না।
তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহিদ আমীন বলেন, ‘বৃদ্ধ নোমানকে বয়স্ক ভাতাকার্ড দিয়েছি। সামনে ঘর নির্মাণের প্রকল্প এলে অবশ্যই তাকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/পিএল)