মণিরামপুরে যুবক হত্যার অভিযোগে আটক ৫
যশোরের মণিরামপুরে মুকুল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা মুকুলকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানা যায়।
আটকরা হলেন- উপজেলার শিরিলি মদনপুর গ্রামের টিপু সুলতান, দিপু হোসেন ও তার ভাই রায়হান হোসেন, উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম এবং তার ভাই সাজেদুল ইসলাম। আসাদুল ও সাজেদুল আবার সম্পর্কে আটক টিপুর শ্যালক।
এর মধ্যে এই হত্যা মামলার আসামি হলেন- টিপু সুলতান, দিপু হোসেন ও তার ভাই রায়হান হোসেন।
নিহত মুকুল ওই এলাকার আমিন মোড়লের ছেলে। জানা গেছে, তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার নামে মণিরামপুর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আটটি মামলাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে নিহতের স্ত্রী লায়লা খাতুন বলেন, ‘আগে মাদকের কারবার করলেও দুই বছর আগে সব ছেড়ে দেন আমার স্বামী। এরপর তিনি মাছের ঘেরের ব্যবসা ধরেন। মাঝেমধ্যে যশোর শহরে রডের কাজ করতেন। শুক্রবার রাতে তিনি সাড়াপোল বাজারে ছিলেন। তখন ইনতাজ আলীর স্ত্রী মাজেদা মোবাইল ফোনে তাদের বাড়িতে ডেকে নেন তাকে। এরপর তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করে তারা।’
এদিকে, নিহত মুকুলের বাবা আমিন মোড়ল ছয়জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি মোন্তাজ আলী, সাদেক আলী ও রাশেদ হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, একটি সাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩-৪ দিন আগে শিরিলি মদনপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মোন্তাজকে মারধর করে মুকুল। শুক্রবার রাতে মোন্তাজের বাড়ির পাশে নিজের মাছের ঘেরে যায় সে। ওই সময় মোন্তাজের ছেলে টিপুর চোখে টর্চ লাইট মারে মুকুল। তখন বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে টিপুর মা এগিয়ে এলে তার গালে চড় মারে মুকুল। এরপর মোন্তাজ আলীসহ বাড়ির অন্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে খুন হয় মুকুল। ওইসময় টিপু ও দিপু আহত হয়। পরে স্বজনরা মুকুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মুকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/পিএল)