সৌদির তেল স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
সৌদি আরবের জেদ্দা নগরীতে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল স্থাপনা আরামকোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী। তবে সৌদি জোট দাবি করেছে, তারা হুথিদের হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সরিয়ি জানান, হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের যোদ্ধারা এবং তাদের সমর্থিত সামরিক বাহিনী আরামকো তেল স্থাপনার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। কুদস-২ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওই হামলা চালানো হয় এবং নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে বলে দাবি করেন জেনারেল সারিয়ি।
জেনারেল সারিয়ি বলেন, ইয়েমেনি সামরিক বাহিনী সৌদি আরবের কিং খালেদ বিমানঘাঁটিতে ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালিয়েছে। এ হামলাও নিখুঁতভাবে পরিচালিত হয়েছে এবং ড্রোন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে সৌদি জোটের মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তুর্কি আল মালিকি বলেন, যাজান শহরের বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের স্থাপনা লক্ষ্য করে হুথি সন্ত্রাসীরা ড্রোন আক্রমণ করে। সৌদি বিমান বাহিনী তাদের হামলা প্রতিহত করেছে এবং ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র এবং ড্রোনবাহী বোমা ব্যবহার করে হুথি সন্ত্রাসীরা বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের স্থাপনা টার্গেট করছে। এই ঘটনাকে যুদ্ধ অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি জোট তাদের নাগরিকদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরানসমর্থিত শিয়াপন্থি হুথি বিদ্রোহীরা। বর্তমানে ৭০ শতাংশ ইয়েমিনি হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে বসবাস করে।
হুথি বিদ্রোহের শুরুতের সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথিরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম নামের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি-আমিরাতের সামরিক জোট। সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইয়েমেন।
(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/কেআই)