পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর ৫ প্রাণী

মহিমা আক্তার
| আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২১, ১১:২৪ | প্রকাশিত : ১৫ মার্চ ২০২১, ০৮:৪৭

পৃথিবীতে রয়েছে সাতটি মহাদেশ। রয়েছে অতলান্ত সমুদ্র, মহাসাগর, অজানা অরণ্য। সেখানে কত জানা-অজানা জীবের বাস তার কতটুকুই বা আমরা জানি? বিচিত্র এ পৃথিবীতে কত সংখ্যক প্রাণী যে রয়েছে তার সামান্যটুকুও হয়ত আমরা জেনে উঠতে পারিনি। যতটুকু জানতে পেরেছি তার কিছু হয়তো অতি সাধারণ প্রাণী, আবার কিছু অতি ভয়ংকর বা মারাত্মক হিংস্র। হিংস্র প্রাণীর কথা বললেই প্রথমে আমাদের মনে আসে বাঘ-সিংহের কথা। কিন্তু বাস্তব বলে ভিন্ন কথা। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীর তালিকায় বাঘ-সিংহের অবস্থান অনেক পরে।

চলুন জেনে আসি পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর ৫ প্রাণী সম্পর্কে-

অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশ:

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, পৃথিবীর হিংস্র প্রাণীর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশ। দেখতে অসাধারণ, রূপ সৌন্দর্যে অনন্য, ঠিক যেন স্বচ্ছ কাঁচের মতো। কিন্তু এর আড়ালে রয়েছে বিষাক্ততা। জেলিফিশের প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এই জেলিফিশ। সামুদ্রিক এই প্রাণী প্রায় ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। একটি জেলিফিশে যে পরিমাণ বিষ থাকে তাতে ৬০ জন মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

এটির বিষ হৃৎপিণ্ড, স্নায়ুতন্ত্র ও ত্বকের কোষকে আক্রমণ করে। সাধারণ একটা জেলিফিশের টেন্টাকল বা কর্ষিকার খোঁচা লাগলে চুলকনির মতো সমস্যা হতে পারে। আর বক্স জেলিফিশের খোঁচা খেলে তিন মিনিটের মাথায় মৃত্যু হতে পারে।ফিলিপাইনে প্রতি বছর ২০-৪০ জন মানুষ মারা যায় এই বক্স জেলিফিশের কারণে।

মার্বেল কোণ শামুক:

পৃথিবীর বিষাক্ত প্রাণীদের মধ্যে দুই নম্বরে রয়েছে মার্বেল কোণ শামুক। শামুক তো আমরা পথে ঘাটে প্রায়ই দেখে থাকি ।কিন্তু এটা সাধারণ শামুক না ভিন্নধর্মী শামুক অর্থাৎ বিষাক্ত কোণ শামুক। কোণ শামুক মানেই বিষাক্ত, কিন্তু মার্বেল কোণ শামুক আরও বিষাক্ত। কোণ শামুক দেখতে কোণ আইসক্রিম এর মতো। এদের খোলস দেখলে মনে হয় মার্বেল পাথর দিয়ে মোজাইক করা হয়েছে। তাই এই শামুকের এমন অদ্ভুত নাম দেওয়া হয়েছে। মূলত অস্ট্রেলিয়ার গরম লবণাক্ত সামুদ্রিক পানিতে এদের দেখা মেলে। দেখতে অসাধারণ সুন্দর হলেও প্রাণীটি মারাত্মক প্রাণঘাতী।

ব্ল্যাক মাম্বা:

পৃথিবীর ভয়ংকর প্রাণীদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্ল্যাক মাম্বা সাপ। দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকার পাহাড়ি অঞ্চলে ব্ল্যাক মাম্বার আসল বাস। এটা আফ্রিকার দীর্ঘতম সাপ। যা লম্বায় গড়ে ৮.২ ফুটেরও বেশি হয়ে থাকে। ১৮ ফুট লম্বা ব্ল্যাক মাম্বার ও দেখা মিলেছে। এদের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর দ্রুততম ও মারাত্মক বিষধর সাপ। এটা যতটা হিংস্র, ঠিক ততটাই ভীতু। এরা প্রতিপক্ষকে তখনই আক্রমণ করে, যখন তারা প্রচুর ভয় পায়। আফ্রিকার পুরাণে এদের নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। ব্ল্যাক মাম্বার একবার কামড়ে মুহূর্তেই মৃত্যু হতে পারে একটি হাতিরও।

কেপ বাফেলো (মহিষ):

পৃথিবীর ভয়ংকর প্রাণীদের মধ্যে চার নম্বরে আছে কেপ বাফেলো। মহিষের এই প্রজাতি আফ্রিকার তৃণ ভূমিতে বসবাস করে। একটি কেপ মহিষের ওজন কয়েকশ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের শক্তি এদের শরীরের ওজন ও বদমেজাজ। এদের কেউ উত্যক্ত করলে তার আর রক্ষা নেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এদের স্মৃতিশক্তি মারাত্মক প্রখর। মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক এই প্রাণী।

সাইফু পিঁপড়া:

সাইফু পিঁপড়া নামে এক ধরনের পিঁপড়া আছে যাদেরকে ড্রাইভার পিঁপড়াও বলা হয়। এরা সবসময় ঝাঁকে ঝাঁকে চলাফেরা করে। এদের প্রতিটি ঝাঁকে থাকে প্রায় ৫ কোটি পিঁপড়া। আজ থেকে প্রায় ৭ কোটি বছর পূর্বে এই ধরনের পিঁপড়ার অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। মূলত দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে এদের খুঁজে পাওয়া যায়। এরা সাধারণ পিঁপড়ার মতো নয়, এরা মারাত্মক হারে মাংসাশী। এক ঝাঁক পিঁপড়া কোন একটি প্রাণীকে নিমিষেই সাবাড় করে ফেলতে পারে।

ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/এমএ/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :