দায়িত্ব পালনে যথাযথ চেষ্টা করব: অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ মে ২০২১, ১৯:০০
অ- অ+
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম (ফাইল ছবি)

‘আমাকে এখনো অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। তবে শুনেছি প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আমি চেষ্টা করব দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে।’

বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা টাইমসকে এ কথা বলেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

মঙ্গলবার জনপ্রশাসনের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি সদ্য প্রয়াত সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

ভাষাসংগ্রামী ও নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে এমনিতে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী আমার কথা বলেছেন। তাও তিন সপ্তাহ আগে। এরপর আর কিছু জানতে পারিনি।’

কুশলাদির প্রশ্নে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক বলেন, ‘আছি মোটামুটি। গৃহবন্দি থেকে তো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।’ জানালেন করোনা প্রতিষেধকের দুটো ডোজই তিনি নিয়েছেন।

কথা প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর অসুস্থতা নিয়ে আত্মবেদনা ব্যক্ত করলেন। বললেন, ‘সিরাজীর অসুস্থতা তো খুব খারাপ খবর। এখন ও ভালো হয়ে উঠলেই হয়।’

গত ১৪ এপ্রিল বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ফোকলোর গবেষক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান মারা যান। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সভাপতি পদটি শূন্য হয়। সেই শূন্য পদেই নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। এর আগে ২০২০ সালে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মারা গেলে বাংলা একাডেমির সভাপতি পদটি শূন্য হয়। সেখানেই নিয়োগ পেয়েছিলেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। আনিসুজ্জামানও করোনা সংক্রমণে মারা যান।

বিশিষ্ট নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক। ৮৭ বছর বয়সী এই ভাষাবিজ্ঞানী, লেখক ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্রও তুলেছিলেন তিনি।

অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম একুশে পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়া এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকেও ভূষিত হন তিনি।

বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেইসব ইতিহাস গ্রন্থিত করেছেন তার লেখায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি বই লেখা এবং সম্পাদনা করেছেন তিনি।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের সাবেক এই উপাচার্য এক সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক করে নেয়।

রফিকুল ইসলাম ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেখাপড়া করেন। ভাষাতত্ত্বে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন ও গবেষণা সম্পাদনা করেন আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান-অ্যান আরবর বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারে। ১৯৫৮ সাল থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরে সেখান থেকে অবসর নেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এইচএফ/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
প্রতিদিন হাঁটলে সুগার-কোলেস্টেরল মুঠোয় থাকবে, বাড়বে না ওজন
ডায়াবেটিস নিরাময় করে ভেষজ মহৌষধি আমলকি
প্রথম প্রেমের স্পর্শ: পর্ব ১৪- ভালোবাসা যেখানে থেমে থাকে না
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা