প্রেমিক নজরুলের সন্ধানে

শারফিন শাহ
 | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০২১, ১৯:৪৫

রবীন্দ্রনাথ নামটির সঙ্গে 'বিশ্বকবি' অভিধাটি যেমন যথার্থ, নজরুল নামটির সঙ্গে 'বিদ্রোহী' তেমন নয়। নজরুলের জীবনে 'বিদ্রোহী' একটা ছাপ, পরিপূর্ণ ছবি নয়। মূলত নজরুলের কবিমানস পরিপুষ্ট হয়েছে প্রেমের বিচিত্র আবহাওয়ায়। তাই বিস্ময়করভাবে 'বিদ্রোহী'র মতো অনলবর্ষী কবিতায়ও থর থর কম্পমান এক প্রেমিক মনের পরিচয় মূর্ত :

"চিত চুম্বন-চোর কম্পন আমি থর থর থর

প্রথম পরশ কুমারীর।

আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি

ছল করে দেখা অনুক্ষণ,

আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তার

কাঁকন চুড়ির কন কন।"

শুধু বিদ্রোহী নয়, শেষ অভিভাষণেও নজরুলকে পাওয়া যায় স্নিগ্ধ প্রেমিকরূপে। তিনি ওই ভাষণে চূড়ান্তভাবে উল্লেখ করেন: 'বিশ্বাস করুন, আমি কবি হতে আসিনি, আমি নেতা হতে আসিনি, আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম, প্রেম পেতে এসেছিলাম।'

নজরুল যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়েন তখনই তার প্রেমানুভূতি বেগ পেতে শুরু করে। সেই কুসুমাবেগেরও কাব্যরূপ দিতে তিনি বিলম্ব করেননি। কৈশোরক প্রেমের বর্ণিল অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে রচনা করেন 'চিঠি' ও 'সুন্দরী' নামক দুটি কবিতা। কচি মনের বিরহকে তিনি যেভাবে কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন তা অতুলনীয় :

'বিনু!

তোমায় আমার ফুল পাঠিয়েছিনু

মনে কি তা পড়ে?

সেদিন সাজে নতুন দেখা বোশেখ মাসের ঝড়ে

আমবাগানের একটি গাছের তলায়

দুইটি প্রাণই দুলেছিল হিন্দুলেরই দোলায়?'

(চিঠি)

'সুন্দরী গো সুন্দরী

ঘরটি তোমার কোন দোরী?

কোন সে পথের বাঁকটিতে

কলসী নিয়ে কাঁখটিতে

থমকে যাও আর চমকে যাও

দুলিয়ে বাহু কুন্দরী?'

(সুন্দরী)

নারীকে কাছে টানার অপূর্ব শক্তি ছিল নজরুলের; নারীরাও তার সঙ্গলাভে সিক্ত হতেন। কিন্তু নজরুল নারীর প্রেমে যেমন শোভিত হয়েছেন, তেমনি দগ্ধও হয়েছেন। কখনো তার কাছে নারী এসেছে দুর্বহ ব্যর্থতার ফলস্বরূপ। 'ব্যথার দান' গল্পগ্রন্থে কোনো এক অনামিকাকে উৎসর্গকৃত ছোট্ট কবিতাটি তারই দৃষ্টান্ত বহন করে:

'মানসী আমার

মাথার কাটা নিয়েছিলুম বলে

ক্ষমা করোনি,

তাই বুকের কাটা দিয়ে

প্রায়শ্চিত্ত করলুম।'

দান্তের জীবনে বিয়াত্রিচ, কিটসের জীবনে ফ্যানি ব্রাউন, মায়াকোভস্কির জীবনে লিলিয়া, তাতিয়ানা ও ভেরোনিকা, চণ্ডীদাসের জীবনে রজকিনী, বিদ্যাপতির জীবনে বিশ্বাসদেবী, রবীন্দ্রনাথের জীবনে কাদম্বরী, ওকাম্পো যেভাবে কাব্যসরস্বতী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন, নজরুলের জীবনেও তেমন জোয়ার এনেছিলেন নার্গিস, প্রমীলা, ফজিলতুন্নেসা। শুধু এই ত্রয়ী কেন, কিশোরকালে যে রেলের গার্ড তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন—সেখানে যে ফিরিঙ্গি দম্পতিকন্যা লোলার সাথে ভাব বিনিময়—সেটাও কি তার প্রেমিকসত্তাকে উর্বর করেনি? আবার গান শেখাতে গিয়ে রানু সোমের (প্রতিভা বসু) সাথেও যে তার অনুরাগ জমেনি তা কে বলতে পারে? নজরুলকে নিয়ে লেখা প্রতিভা বসুর গল্প 'আয়না'তেই তো স্পষ্ট যে, প্রতিভা বসু নজরুলের প্রতি দুর্বল ছিলেন!

যৌবনের প্রারম্ভেই নজরুল তার কাঙ্ক্ষিত দেবী নার্গিসের ( সৈয়দা আসার খাতুন) দেখা পান। ১৯২০ সালে বাঙালি পল্টন ভেঙে যাবার পর তিনি ঘটনাক্রমে কুমিল্লায় আসেন। সেখানেই নার্গিসের সঙ্গে তার নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। প্রথমদিকে সাড়া মেলেনি। কিন্তু নজরুলের বাঁশির সুর নার্গিসকে ব্যাকুল করে তুলতো। ধীরে ধীরে দুজনের আকুতি নিবিড় প্রেমে গড়ায়। ইরানি একটি ফুলের নামে নজরুল সৈয়দা আসার খাতুনের নাম দেন 'নার্গিস'। প্রাণেশ্বরী নার্গিসকে তিনি বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কোনো এক ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়ে বিয়ের রাতেই নববধূকে রেখে কলকাতায় চলে যান। এখানেই নার্গিস অধ্যায় সমাপ্ত হতে পারতো, তবে তা হয়নি। নার্গিসকে নজরুল মন থেকে মুছতে পারেননি। তার কবিজীবনকে নার্গিস কতোটা প্রভাবিত করেছিল, দীর্ঘ ১৬ বছর পর লেখা চিঠিই তার প্রমাণ। নজরুল নার্গিসকে লিখেছেন:

'তুমি এই আগুনের পরশমণি না দিলে আমি অগ্নিবীণা বাজাতে পারতাম না। তোমার যে কল্যাণরূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, সে রূপকে সর্বপ্রথম আমি আমার ভালোবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজও স্বর্গের পারিজাত মান্দারের মতো চিরঅম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে। অন্তরের আগুন বাইরের সে ফুলহারকে স্পর্শ করতে পারেনি।'

নার্গিস-বিরহ সত্যিকার অর্থেই কবির সৃজনী শক্তিকে নতুনমাত্রা দেয়। এই ঘোর বিষাদানুভূতির সাথে ধূসর কাব্যানুভূতি মিশিয়ে নজরুল নির্মাণ করেছিলেন তার কবিতার সুফলা গর্ভ; যেখানে 'চক্রবাক', 'ছায়ানট', 'দোলন চাঁপা', 'পূবের হাওয়া', 'সিন্ধু হিন্দোল' কাব্যগ্রন্থের বহু কবিতা জন্মলাভ করেছে। অনাদৃতা, পূজারিণী, চৈতী হাওয়া, ছল কুমারী, হিংসাতুর, তোমারে পড়েছে মনে প্রভৃতি কবিতায় যে বিরহ-বিলাপ, তা নার্গিসকে ঘিরেই আবর্তিত।

নার্গিসকে হারানোর পর নজরুলের শতচ্ছিন্ন, ছন্নছাড়া, বিবর্ণ জীবনে নতুন রঙ, রূপ ও তরঙ্গ নিয়ে আসেন কুমিল্লারই কান্দিরপাড় এলাকার গিরিবালা দেবীর কন্যা প্রমীলা সেনগুপ্তা (আশালতা সেনগুপ্তা)। ১৯২১ সালের মার্চ-এপ্রিলে কবি কান্দিরপাড়ের শ্রী ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাড়িতে কিছুদিন অতিথি হন। সেখানেই নজরুল-প্রমীলার পূর্বরাগ উদিত হয়। নজরুল-প্রমীলার প্রেমপর্বের কাব্যিক বর্ণনা পাওয়া যায় এম, এ মজিদ-এর 'নজরুলের প্রেমের কবিতা' গ্রন্থে: 'বিবাহ-বিচ্ছেদের পর নজরুলের বিরহ-হৃদয়ের আহাজারী সইতে না পেরে আপনমনে কেঁদে ফিরছিল কান্দিরপাড়ের এক বালিকার মন। হঠাৎ করেই নজরুল আবিষ্কার করে ফেললেন একদিন সেই বালিকার অপ্রকাশ হৃদয়-কাকুতি। তাই তাকে নিয়ে নজরুল লিখলেন 'বিজয়িনী' কবিতা। এই 'বিজয়িনী'র ভেতর দিয়েই স্বীকৃতি দিলেন কবি কুমারী আশালতা সেনগুপ্তার। এরপর এই 'বিজয়িনী'ই 'পূজারিণী'রূপে চটুল ছন্দে পা ফেলে প্রবেশ করলেন কবির হৃদয়-মন্দিরে।'

জীবন একদিক থেকে যেমন কেড়ে নেয় অন্যদিকে তা ভরেও দেয়। কবির কাছ থেকে নার্গিস-শূন্যতা যা কেড়ে নিয়েছিল প্রমীলা এসে তা কানায় কানায় পূর্ণ করে দিল। কিন্তু তার আগে আরও একবার প্রিয়া-বিরহের বিষজ্বালায় দংশিত হতে হয় তাকে। 'ধূমকেতু' পত্রিকার পূজাসংখ্যায় 'আনন্দময়ীর আগমনে' কবিতা প্রকাশিত হওয়ার অপরাধে কবি কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার হন। বিচারে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। বহরমপুর জেলে বসে কবি যখন জানতে পারেন তার 'বিজয়িনী' প্রিয়তমা কোনো এক হিন্দু যুবকের সাথে ভাব বিনিময় করে চলেছেন তখন তার ভেতরের দেবীমূর্তি ভেঙে খান খান হয়ে যায়। কবির বিরহপীড়িত দীর্ঘশ্বাসগুলো রূপান্তরিত হয় 'অভিশাপ', 'আড়াল', 'আলতা স্মৃতি'র মতো নীল বেদনার কবিতাসমূহে। বিশেষ করে 'অভিশাপ' কবিতায় ওঠে এসেছে প্রিয়া হারানোর আশঙ্কাজনক মর্মভেদী আর্তনাদ :

'যেদিন আমি হারিয়ে যাব,

বুঝবে সেদিন বুঝবে,

অস্তপারের সন্ধ্যাতারায়

আমার খবর পুছবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

ছবি আমার বুকে বেঁধে

পাগল হ’য়ে কেঁদে কেঁদে

ফিরবে মরু-কানন গিরি,

সাগর আকাশ বাতাস চিরি’

যেদিন আমায় খুঁজবে-

বুঝবে সেদিন বুঝবে!'

কিন্তু নজরুলের হৃদয়-মন্দিরে প্রমীলাই ছিলেন শ্বাশ্বত প্রতিমা। নানা বিপত্তি পেরিয়ে দুজনের মিলনপর্ব শুরু হয় বৈবাহিক আনুষ্ঠানিকতায়। ১৯২৪ সালের ২৫ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয়। আর এরপর থেকেই নজরুলের কবিতায় নানামাত্রিক পটপরিবর্তন দেখা দেয়। কবিতার বিষয়বস্তু, চিত্রকল্প, উপমায় নিয়ে আসেন বৈচিত্রময় এক নতুন ধারা। এতে তার কাব্যভাণ্ডার আরও নান্দনিকতা পায়।

১৯২৮ সালে নজরুল ঢাকায় আসেন মুসলিম সাহিত্য সমাজের দ্বিতীয় বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে। এই অধিবেশন শেষে তিনি মাসাধিক ঢাকায় ছিলেন। বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেনের বর্ধমান হাউজের বাসগৃহের একটি ছোট কামরায় নজরুল থাকতেন। এ সময় তার নতুন ভক্তকুল জুটে। বিশেষ করে বিজ্ঞানী সত্যেন বোস তার সঙ্গে সঙ্গীতালাপ উপভোগ করেন; উমা মৈত্র ও প্রতিভা বসুকে গান শেখাতে গিয়েও সমাদৃত হন। তবে নজরুলের এই ঢাকাপর্বে এক রহস্যময়ীর আগমন ঘটে। তার নাম ফজিলতুন্নেসা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের এই মেধাবিনীর সঙ্গে নজরুলের পরিচয় ঘটে হাত দেখার সূত্রে। নজরুল হাত দেখে ভাগ্য গণনা করতে পারেন, এমনটা জেনেই ফজিলতুন্নেসা স্বেচ্ছায় হাত দেখান। কিন্তু হাত দেখতে গিয়ে ফজিলতুন্নেসার মন ছুঁয়ে দেখার তাড়নাও অনুভূত হয় নজরুলের। নজরুল ও ফজিলতুন্নেসার রহস্যময় অধ্যায়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে কাজী মোতাহার হোসেন তার 'স্মৃতিপটে নজরুল' রচনায় লিখেছেন:

'বর্ধমান হাউসে আমার ভাইবোনসহ অনেক লোকজন থাকায়, আমি বাইরের ছোট ঘরটায় নজরুলের সঙ্গেই এক বিছানায় শুয়ে রাত কাটাতাম। একদিন রাতে উঠে দেখি নজরুল বিছানায় নেই। ব্যাপার কি? পরে অনেক বেলাতে জানা গেল কখন যেন তিনি আলগোছে উঠে চলে গিয়েছিলেন দেওয়ান বাজার রাস্তার উপর অবস্থিত ফজিলতের গৃহে। সেখানে কখন গিয়েছিলেন, কতক্ষণ ছিলেন, কি করেছিলেন?—সারারাত কি সেখানেই ছিলেন, না সেখান থেকে রমনা লেনের ধারে এসে দিনান্তের বিকালবেলাকার অভ্যাসটা সম্প্রসারিত করে সেদিনের নিশান্তের শেষ যামটাও সেখানে বসেই লেকের পানি, গাছপালা ও ঘাসপাতা দেখে দেখেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন, এসব তথ্য আমি জানতেও পারিনি, জিজ্ঞাসাও করিনি। তবে পরদিন একটা ঘটনা লক্ষ করেছিলাম, ফজিলতের গলার মটর মালার লম্বা হারটা ছিন্ন।'

ফজিলতুন্নেসার এই ছিন্ন হার নিয়ে ভাবনা প্রসারিত করার সুযোগ আছে। কিন্তু এতদূর না গিয়েও এটা বুঝা অসম্ভব নয় যে, ফজিলতুন্নেসা প্রথমদিকে নজরুলকে উপেক্ষা করেননি। পরবর্তীতে হয়তো নজরুল বিবাহিত ও সংসারী ভেবে নিজেকে সংযত রেখেছেন। তবে ফজিলতের এরূপ পাথুরে আচরণে নজরুলের প্রেমোন্মাদনা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। কলকাতায় ফিরেই কাজী মোতাহার হোসেনকে একের পর এক চিঠি লিখতে থাকেন। এর মধ্যে ফজিলতুন্নেসাকে লেখা একটি কাব্যিক চিঠিও ছিল। নজরুল ওই চিঠির নাম দিয়েছিলেন 'রহস্যময়ী'। পরবর্তীতে বদলে নাম রাখা হয় 'তুমি মোরে ভুলিয়াছ'। ১৯২৮ সালের সেপ্টেম্বরে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড পাড়ি দেন ফজিলতুন্নেসা। সেখানে শামসুজ্জোহা নামের এক উচ্চশিক্ষিত যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দেশে ফিরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এই বিয়ের খবর শুনে নজরুল লিখেছিলেন—

'বাদল বায়ে মোর নিভিয়া গেছে বাতি

তোমার ঘরে আজ উৎসবের বাতি

তোমার আছে হাসি আমার আঁখি জল

তোমার আছে চাঁদ, আমার মেঘদল।'

ফজিলতুন্নেসার মনের গোপন মঞ্জুসার নাগাল না পেলেও তাকে নিয়ে লেখা নজরুলের চিঠি ও কবিতাগুলো বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিকতার অভাব হয়তো কিছুটা হলেও ঘুচিয়েছে।

নজরুলের প্রেমলোক বহুশত বিচিত্র রঙে রঞ্জিত। জীবনের কালবেলাতেও তিনি প্রেমছুট হননি। সামাজিক অস্থিরতা, উন্মাদনা, জটিলতার মধ্যেও তিনি সুন্দরের জয়গান গেয়েছেন, প্রেমের স্রোতে ভেসেছেন। উপরোল্লিখিত নারীরাই শুধু নয়, আরও অনেক নারী তার প্রেমের শিল্পমূর্তি নির্মাণের দ্যোতনা। নারীর কাছে তাই নজরুলের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নজরুলের জীবনকে 'মহাজীবন' বলে উল্লেখ করেছেন। এই মহাজীবনের নানা বাঁকে সবচেয়ে বেশিবার এসেছে প্রেম-প্রহেলিকা। প্রেম যেহেতু জলের স্পর্শ দিয়েও আবার মরুভূমিতে টেনে নেয়, তাই নজরুলের প্রেমতৃষ্ণা কখনোই কাটেনি। সেই পরমাত্মিক গভীর প্রেমতৃষ্ণাকে তিনি ব্যক্ত করেছেন কবিতায়, গানে, চিঠিতে। দেশপ্রেমিক নজরুল, সাম্যবাদী নজরুল, অসাম্প্রদায়িক নজরুল, বিদ্রোহী নজরুল—এইসব রূপের সাথে প্রেমতৃষ্ণায় তৃষিত নজরুলের রূপটি সেভাবে ফুটে উঠেনা, ব্যাপারটি দুঃখজাগানিয়া।

তথ্যপঞ্জি:

১. কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিকথা, মুজফ্ফর আহমদ

২. কেউ ভোলে না কেউ ভোলে, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়

৩. জৈষ্ঠ্যের ঝড়, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

৪. এখন যাদের দেখছি, হেমেন্দ্রকুমার রায়

৫. নজরুল স্মৃতিমাল্য, হরিপদ ঘোষ সম্পাদিত

৬. আলোর উদ্দাম পথিক, বাঁধন সেনগুপ্ত ও সুদিন চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত

৭. নজরুল ইনস্টিটিউট পত্রিকা বিশেষ সংখ্যা, মুহম্মদ নূরুল হুদা সম্পাদিত

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :