ধামইরহাটে নাগ ফজলি আমের সংগ্রহ শুরু

নওগাঁর ধামইরহাটে নাগ ফজলি আমের সংগ্রহ শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময় বুধবার নাগ ফজলি আম সংগ্রহ, বিপণন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৬৭০ হেক্টর জমিতে ছোট-বড়ো আমের বাগান গড়ে উঠেছে। এছাড়াও গ্রামে গৃহস্থের বাড়ির আঙ্গিনাই লাগানো হয়েছে সু-স্বাদু নাগ ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আমের গাছ।
নাগ ফজলির আমের বিশেষত্ব হলো এটি একটু শক্ত ধরনের হওয়ায় পঁচে কম। গাছ থেকে নামানো নাগ ফজলি দীর্ঘদিন ধরে ঘরে রেখে খাওয়া যায়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ আমের চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে। স্থানীয়রা জানান, নাগ ফজলি স্বাদেগুণে সকল আমের রাজা।
সচেতনমহল জানান, এ আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। একটু নজর দিলে সরকার এ আম থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এবার অতি ক্ষরায় উপজেলার গাছগুলো থেকে আম ঝড়ে পড়লেও এখনো গাছের ডালে ডালে সবুজ পাতার আড়ালে উঁকি দিচ্ছে অসংখ্য নাগ ফজলি আম।
পাইকারি আম বিক্রেতা মোকলেছার রহমান জানান, তিনি প্রতি বছর ২৫০ থেকে ৪০০ মণ আম রাজধানী ঢাকায় বিক্রয় করেন। তিনি নাগ ফজলি, রুপালি, লেংড়া, বারি ফোর ও খিরসাপাতি আম কিনে ঢাকার পাটুয়াটুলি এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজে পরিবহন করে তা পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। আম বিক্রি করে তিনি প্রতি সিজনে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন জানান, নাগ ফজলি অত্যন্ত সুমিষ্ট ও আগাম জাত। আকারে ফজলির আমের মতো হলেও নিচের দিকে দেখতে একটু নাক আকৃতির। স্বাদ, গন্ধ ও মিষ্টি স্বাদ মিলিয়ে অন্যরকম একটি আম। আকারে লম্বাটে, পরিপক্ক অবস্থায় ৩০০-৪০০ গ্রাম হয় একেকটি আম। এ আম ফজলি আমের চেয়ে ২৫-৩০ দিন আগে পাকে। দেখতেও পাতলা।
(ঢাকাটাইমস/৫জুন/পিএল)

মন্তব্য করুন