বেড়েছে গাড়ির চাপ, অবাধে চলছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ২১:০১ | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০২১, ১৩:৪৫

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সরকারঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের ১২তম দিনে আজ সোমবার রাজধানীর সড়কের চিত্র অনেকটাই স্বাভাবিক সময়ের মতো ছিল। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেটকার, ট্রাক ও রিকশার চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় অনেক সড়কেই যানজটের সৃষ্টি হয়।

আজ দুপুরে রাজধানীর কলেজগেট, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, মগবাজার ও বারিধারা প্রগতি সরণি সড়কে যানজট দেখা যায়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যানজটে আটকাপড়া গাড়ির মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলের আধিক্য। ফার্মগেট থেকে শুরু করে কারওয়ানবাজার সিগন্যাল পর্যন্ত গাড়ির লম্বা সারি। তার থেকে কিছুটা এগিয়ে বাংলামোটর সিগন্যালেও দাঁড়িয়ে অর্ধশতাধিক গাড়ি।

মগবাজার মোড়ে দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, পিকআপ, পণ্যবাহী ট্রাকের জটলা দেখা গেছে। এমনকি ট্রাফিক পুলিশকে স্বাভাবিক দিনের মতো সেখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে।

অন্যদিকে গণপরিবহন না থাকায় এবং রিকশা ভাড়া বেশি হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অফিসগামীদের। গন্তব্যস্থলে যেতে তাদের একমাত্র ভরসা ছিল ফুটপাত ধরে হাঁটা অথবা রিকশা। রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকানোয় অফিসগামীরা অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন অনেক পথচারী।

চলমান কঠোর লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ও রিকশা ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। বিধিনিষেধ মানাতে সড়কে বসানো হয়েছিল পুলিশ চেকপোস্ট। লকডাউনের প্রথম দিকে পুলিশের তৎপরতা দেখা গেলেও এখন তা অনেকটাই মিইয়ে গেছে। সড়কে খুব কম স্থানেই পুলিশ চেকপোস্ট দেখা গেছে।

তবে যেসব স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল, সেখানে বেশির ভাগ স্থানে পুলিশের কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। সড়কে চেকপোস্টের প্রতিবন্ধকগুলো থাকায় সেসব স্থানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তেমন একটি চেকপোস্ট বারিধারার পাশে প্রগতি সরণিতে দেখা গেছে।

সরকারি জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত গাড়িচালক নিজাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে এমন যানজট আগে কখনো দেখিনি। সরকারের কিছু করার নাই। পাবলিক কারো কথা শুনতে রাজি না।’

পথচারী মামুন বলেন, ‘সবারই পরিবার আছে। সামনে আবার ঈদ। আর কত দিন ঘরে বসে থাকবে সবাই? এভাবে সংসার চলবে?’

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে চাকরি করেন হৃদয়। ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন অফিসের উদ্দেশে। হেঁটে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ভাই, রিকশাভাড়া অনেক বেশি চায়। যে বেতন পাই, তাতে রিকশায় যাতায়াত করলে বেতনের টাকা তো সব দিতেই হবে, আরও বাড়ি থেকে আনতে হবে।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। চলবে আগামী ১৪ জুলাই পর‌্যন্ত। তবে আজ সরকার জানিয়েছে, ১৪ জুলাই থেকে দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহণ চলাচল করবে। শপিংমল ও দোকানপাট খুলবে সেদিন।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/আরকে/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :