গোপালগঞ্জে মধুমতির তীব্র ভাঙন; বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলি জমি
গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর ভাঙন হঠাৎ করেই তীব্র আকার ধারন করেছে। প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, গাছপালা ও ফসলি জমি। গত পাঁচদিনে ১৫টি বাড়িঘর ও শত শত একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার। এখনও অনেকে শেষ সম্বলটুকু বিলীনের শঙ্কায় দিশেহারা। অনেকেই রাত জেগে বসে থাকছেন শেষ সম্বল রক্ষার আশায়।
সরিজমিনে দেখা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ইছাখালি এলাকায় মধুমতির তীব্র ভাঙনে গত পাঁচদিনে ১৫টি বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। চোখের সামনে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের চির চেনা বসতভিটা ও আবাদি জমি।
গবাদিপশু নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ও রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। ভাঙন আতঙ্কে অনেকে আবার গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্যান্য স্থানে।
এই এলাকা ছাড়াও নদীর তীরবর্তী এলাকার চর গোবরা, হরিদাশপুর, ফুকরা, ঘোড়াদাইড়, চর সিংগাতি, মধুপুর এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ওইসব এলাকার অসংখ্য বাড়িঘর ও শত শত একর ফসলি জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান বলেন, হাঠৎ করে নদী ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় ফসলি জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, এই মুহুর্তে আমরা মধুমতী নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা দেওয়া হবে। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭ সেপ্টেম্বর/পিএল)