অবশেষে ওএসডি হলেন যশোর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ও সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ২১:০৪

প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওএসডি হয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন এবং সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা। তাদের দুইজনকেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

তারা দুইজন ছাড়াও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেনকেও মাউশিতে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার একই আদেশে রাজশাহীর সরকারি এএইচএম কামরুজ্জামান ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) মো. আবদুল খালেক সরকারকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের সচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৮ অক্টোবর বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২৩ অক্টোবর আরও আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতি ও আত্মসাতের ঘটনা।

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততায় এত বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলে।

গত ৭ অক্টোবর অডিটকালে যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রথম ঘটনাটি ধরা পড়ে। সরকারি কোষাগারে জমার জন্য আয়কর ও ভ্যাট বাবদ দশ হাজার ৩৬ টাকার নয়টি চেক ইস্যু করা হয়েছিল। ওই চেকগুলো জালিয়াতি করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং শাহী লাল স্টোর নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে এই বিপুল টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক শিক্ষা বোর্ড শাখার এই চেকগুলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার মাধ্যমে পরিশোধিত হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ডের ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয় বোর্ডের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের সঙ্গে মিলকরণের সময় দেখা যায়, বোর্ডের ব্যয় অ্যাকাউন্ট এসটিডি-২৩২৩২৪০০০০০২৪ হিসাব খাতের নয়টি চেক পরিশোধিত হয়েছে। কিন্তু বোর্ডে সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের চেকে উল্লিখিত টাকার পরিমাণের সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পরিশোধিত টাকার মিল নেই।

ইস্যু করা চেকগুলোর বিপরীতে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ সরকারি কোষাগারে অর্থ পরিশোধিত হয়নি। আসলে নয়টি চেক জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে দুই কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা তুলে নিয়েছে দুইটি প্রতিষ্ঠান।

২০২০ সালের ৮ জুলাই আয়কর বাবদ দুই হাজার ৫০০ টাকার চেক ইস্যু করে বোর্ড। ওই চেক জালিয়াতি করে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা ভেনাস প্রিন্টিং প্যাকেজিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান উত্তোলন করে।

একই কায়দায় ওই বছরের ১২ আগস্ট ভ্যাট বাবদ এক হাজার ২০৭ টাকার চেক ইস্যু করা হয়। ওই চেক জালিয়াতি করে ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা উত্তোলন করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।

ওই বছরের ২৪ আগস্ট আয়কর বাবদ ৬০০ টাকার চেক ইস্যু করা হয়। ওই চেকের নম্বর ও তারিখ ব্যবহার করে শাহী লাল স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেয়।

২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর আয়কর বাবদ ৬৭৮ টাকার চেক ইস্যু করে বোর্ড। এই চেকের নম্বর ও তারিখ ব্যবহার করে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা উত্তোলন করে এই শাহী লাল স্টোর।

২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর ভ্যাট বাবদ ৬০০ টাকার চেক ইস্যু করা হয়। ওই চেক জালিয়াতি করে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।

২০২১ সালের ৬ মে ভ্যাট বাবদ ৯৯৬ টাকার চেক ইস্যু করা হয়। সেটি জালিয়াতি করে ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং। যদিও ব্যাংক থেকে পরিশোধিত চেক বা অর্থের বিপরীতে প্রতিষ্ঠান দুইটি বোর্ডে কোনো মালামাল বা সেবা সরবরাহ করেনি।

ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/কারই/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ঢাকাসহ ৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ সোমবার বন্ধ, খোলা প্রাথমিক

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঢাকা ও চট্টগ্রামের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা

শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার তাগিদ দিলেন শিল্পমন্ত্রী

ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারাদেশে স্কুল বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী

বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের ৪৮তম বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত 

তাপপ্রবাহের ঝুঁকির মধ্যেই খুলল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

বেরোবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কুবিতে গুচ্ছ পদ্ধতির ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন, উপস্থিতি ৮৭ শতাংশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :