মিতু হত্যা: এবার নিজের করা মামলায় গ্রেপ্তার বাবুল আক্তার

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:১৯| আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৫২
অ- অ+

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় যে মামলা করেছিলেন এবার সেই মামলাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এই আদেশ দেন। বাবুল নিজেই ওই মামলার বাদী। এর আগে শ্বশুরের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় আট মাস ধরে কারাগারে আছেন বাবুল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, বাবুল আক্তারের করা মামলার তদন্তে স্ত্রী মিতুকে হত্যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে গত ২৭ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ আদালত আদেশ দিয়েছেন।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, একই ঘটনায় মিতুর বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বাবুল আক্তার। এক ঘটনায় দুই মামলা চলতে পারে না। তাই আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে। ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন।

শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, সেটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মিতুর বাবার করা মামলাটিও তদন্ত করছে পিবিআই।

দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গত বছরের ১১ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুলকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরদিন ১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার শ্বশুর অর্থাৎ নিহত মিতুর বাবা। মামলায় বাবুল ছাড়া আরও সাতজনকে আসামি করা হয়।

ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/এমআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০ পৌরসভায় শেষ হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল মারল কে?
কিছু ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ 
সিলেট থেকে ৪১৮ যাত্রী নিয়ে মদিনায় গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা