মুজিববর্ষ উপলক্ষে জমি ও ঘর উপহার পেয়ে খুশি কবিতা খানম

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:২২

স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজেদের যে জমি টুকু ছিল সবই বিক্রি করতে হয়েছে। মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু ছিল না। সেই থেকে সহায়-সম্বলহীন, পরিবার নিয়ে বড়ই কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে আমাদের। এরপর প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। টানা পোড়নের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। কাজের সন্ধানে ২২ বছর আগে পরিবারের সবাই চুয়াডাঙ্গায় চলে আসি। চুয়াডাঙ্গায় এসে বাসা ভাড়া নিয়ে দু’জন মিলে কাজ শুরু করি। এরপর ফুটফুটে এক কন্যাসন্তান আসে আমাদের সংসার আলো করে। ভালোই চলছিল আমাদের সংসার। কন্যাসন্তান জন্মের ৬ মাসের মাথায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী মারা যাওয়ায় জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।

এভাবেই তার নিজের জীবনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলির কথা বলছিলেন কবিতা খানম (৩৮)। তিনি ফরিদপুর জেলার কুমছুদপুর গ্রামের আতিকুর রহমানের স্ত্রী। কথাগুলো বলার সময় চোখ দুটো পানিতে ছলছল করলেও পরক্ষণেই আবার আশার কথা জানিয়ে বলেন, এখন আমি সহায়-সম্বলহীন না। আমার জমি আছে, ঘরও আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি ভূমিহীন অসহায় কবিতা খানমকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপহার হিসেবে ঘর পাইয়ে দিতে সাহায্য করেন।

তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহারের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘরসহ দু'শতক জমি পেয়েছেন। ২০২১ সালের ২০ জুন থেকে তিনি তার পুত্র সন্তান শহিদুল ইসলাম (২২) এবং কন্যাসন্তান চুয়াডাঙ্গা রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমির ১০ম শ্রেণির ছাত্রী রুমানা আক্তার বর্ষাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া পৌর এলাকার তালতলা আবাসন প্রকল্পের ওই বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন।

কর্মজীবনে কবিতা খানম সূর্যের হাঁসি ক্লিনিকে সেবিকা হিসেবে কাজ করেন। দু’সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে তিনি সুখেই দিন কাটাচ্ছেন।

কবিতা খানম এবং তার ছেলে শহিদুল ইসলাম এবং মেয়ে বর্ষা ঢাকা টাইমসকে বলেন, সারাদিন কাজ শেষে এখন আর অন্যের ঘরে ফিরতে হয় না। ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় আমরা এখন প্রতিদিন ফিরতে পারি নিজ ঘরে। শুধু ঘরই নয়, এখন আমাদের নিজ নামে দুই শতক জমির উপর ঘর আছে। সেখানে আছে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, সুন্দর বারান্দাসহ বসবাসের নিরাপদ সুবিধা।

কবিতা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি শুধু আমাদের প্রধানমন্ত্রীই না, তিনি একজন মমতাময়ী মা। দোয়া করি তিনি যেন আমার মতো আরও কবিতা খানমের মা হয়ে এই পৃথিবীতে আজীবন বেঁচে থাকেন। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে আশ্রয় পাওয়াদের অধিকাংশই রাস্তার ধারে ফুটপাত বা অন্যা কারও আশ্রয়ে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেয়েছেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের জমি ও ঘর নাই, তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :