ব্যাংক ঋণ ও বীমার সুবিধা পেতেই ১২ বাসে আগুন

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ মার্চ ২০২২, ২০:৪২

বীমা দাবি আদায় ও ব্যাংক ঋণের দায় থেকে অব্যাহতি পেতে ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার মামলায় জব্দকৃত ১২টি বাসে আগুন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের গোয়ালচামট এলাকা থেকে আটক করা হয় ওই তিনজনকে।

গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যক্তিরা হলেন, পশ্চিম গোয়ালচামটের ২ নম্বর সড়ক এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম জনি (২৪), একই এলাকার মৃত সোরাব মৃধার ছেলে পারভেজ মৃধা (২১) ও নগরকান্দার লস্করদিয়ার গোড়াইল গ্রামের আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪১)।

সংবাদ সম্মলেনে জামাল পাশা বলনে, বাস পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আসামি হিসাবে তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ঘটনায় আসামি জনি ও মোহাম্মদ আলী ঘটনার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে স্বীকার করেন।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম জনি পুড়ে যাওয়া বাসগুলো দেখাশোনা করতেন, আর মোহাম্মদ আলী সেখানকার নাইটগার্ড।

আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেলের টাকা পাচার মামলায় তাদের মালিকানাধীন সাউথ লাইন নামের পরিবহনের ২২টি বাস জব্দ করে রাখা ছিল ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট বিদ্যুৎ অফিসের পাশে। গত ১২ মার্চ রাতে এসব বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এর আগেই পুড়ে যায় ১২টি বাস।

ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডির দায়েরকৃত দুই হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার মামলায় জব্দকৃত বাসগুলো কোতোয়ালি থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ইন্সপক্টের অপারশেন মো. আব্দুল গাফফার বাদি হয়ে একটি মামলা করেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই মো. ফরহাদ হোসেন। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সংবাদ সম্মলেনে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমটির প্রধান ইমদাদুল হক জানান, বাসগুলো বিভিন্ন কোম্পানির ইন্সুরেন্স করা এবং ব্যাংকে দায়বদ্ধ ছিল।

তিনি আরো বলেন, ‘এখনই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। তদন্ত কমিটিকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন হলে আমরা আরো বিস্তারিত জানাতে পারব।’

সংবাদ সম্মলেনে তদন্ত কমটির অপর দুই সদস্য অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর র্সাকেল) সুমন রঞ্জন কর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :