নৃগোষ্ঠীর ভাষার ডিজিটাইজেশন নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১৬:১৭ | প্রকাশিত : ২২ মার্চ ২০২২, ২২:৫৮

দেশে এখন বাংলাসহ ৪১টি জীবিত ভাষা থাকলেও এর মধ্যে ১৪টি বিপন্নপ্রায়। সুরক্ষার উদ্যোগ না নিলে কয়েক বছরের মধ্যে এই ভাষাগুলো হারিয়ে যাবে। এ অবস্থায় সরকার বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী ভাষার ডিজিটাইজেশন করছে, যার আওতায় উন্নয়ন হবে দেশের সব ভাষার বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্টেশন, আর্কাইভ, ডিজিটাল ফন্ট-কিবোর্ড প্রভৃতি।

এ বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বিভিন্ন অংশীজন, ভাষা বিশেষজ্ঞ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। সভাপতিত্ব করেন বিসিসির পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ এনামুল কবির।

গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প (ইবিএলআইসিটি) ও বিসিসি আয়োজিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইবিএলআইসিটির প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব করিম।

ইবিএলআইসিটির ভাষাপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মামুন অর রশীদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিসিসির (গ্রেড-১) নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, অংশীজন ড্রিম৭১-এর এমডি ও বেসিস পরিচালক মো. রাশাদ কবির, মণিপুরী সাহিত্য পরিষদের প্রেসিডেন্ট এ কে শেরাম এবং জাবারং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।

পরে কারিগরি অধিবেশন ও উন্মুক্ত আলোচনা এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইবিএলআইসিটির ভাষাপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মামুন অর রশীদ। মতবিনিময়ে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ সুমন প্রমুখ।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সেমিনারে বলা হয়, প্রযুক্তির সহায়তায় এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ডিজিটাইজেশন জরুরি। বর্তমান বিশ্বে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ভাষা আছে, যার প্রায় অর্ধেক এই শতকের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের বাস্তবতাও এর চেয়ে ভিন্ন নয়। সর্বশেষে জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাংলাসহ ৪১টি জীবিত ভাষা আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভাষা বিপন্নপ্রায়। এগুলো হারিয়ে যাওয়ার আগেই ভাষাগুলোর বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্টশন প্রয়োজন, যাতে ডিজিটাল যুগে ভাষাগুলোকে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা যায়।

মূলত বাংলাদেশের ৪০টি ভাষাকে ডিজিটাইজড করা ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রিসোর্স আর্কাইভ তৈরি করা এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।

(ঢাকা টাইমস/২২মার্চ/পিআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :