র‌্যাব সদস্যদের জন্য বিশেষ 'ইনসিগনিয়া'

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ২৩:০০ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২২, ২২:২৭

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নে (র‌্যাব) দায়িত্ব পালনের জন্য বিশেষ 'ইনসিগনিয়া' পাচ্ছেন বাহিনীর সদস্যরা। আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠেয় বাহিনীর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে এ ইনসিগনিয়া ব্যাজ পরিয়ে দেবেন।

এরপর থেকে ইউনিফর্মে এই ব্যাজ পরার অনুমতি পাবেন বাহিনীর সব স্তরের সদস্যরা।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য জানান।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, 'এই ব্যাজ র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সদস্য এবং ভবিষ্যতে যারা কাজ করবেন তারা পরবেন। এটি এক্সক্লুসিভ।'

আটটি বাহিনী ও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত র‌্যাব দেশের একটি চৌকস এলিট ফোর্স। এখানে বিভিন্ন বাহিনী থেকে আগত সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট সময় সেবা শেষে নিজ বাহিনীতে ফিরে যান।

র‌্যাবের সম্মিলিত কার্যক্রমকে স্মরণীয় করে রাখতে সব র‌্যাব সদস্যের জন্য একটি 'ইনসিগনিয়া' গত ২১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়। এটি র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে পরতে পারবেন।

সব র‌্যাব সদস্যের জন্য এই ইনসিগনিয়া অনন্য সম্মান ও গৌরবের প্রতীক বলে জানান র‌্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনধারণ যখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল, তখনই ২০০৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষায়িত বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে র‌্যাব।

প্রতিষ্ঠার পর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধ, অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই এলিট ফোর্স। নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে মাদকের বিস্তাররোধেও র‌্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকে রেখেছে।

সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে র‌্যাবের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং ওই অঞ্চলে দস্যুতা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনবদ্য ভূমিকার জন্য র‌্যাব এখন সাধারণ মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।

ইনসিগনিয়ায় ব্যবহৃত বিভিন্ন চিহ্নের অর্থ

ব্যাজে সবার ওপরে মাঝখানে জাতীয় প্রতীক শাপলা যা জনপ্রশাসনকে ধারণ করে। এর দুই পাশে আটটি তারকা চিহ্ন র‌্যাব ফোর্সেসে কর্মরত বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার পরিচায়ক।

ওপরের দিকে মাঝামাঝি অস্ত্রের চিহ্ন জনগণের সুরক্ষা সেবা এবং আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণের দায়বদ্ধতার পরিচায়ক।

এর নিচে দুই পাশের চিহ্নের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে জল-স্থল-অন্তরীক্ষ সর্বত্র বিরাজমান র‌্যাবের আভিযানিক সক্ষমতা।

তার নিচে মাঝখানে জাতীয় স্মৃতিসৌধের চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়েছে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দায়িত্ব পালনে নির্ভীক ও সুদৃঢ় অঙ্গীকারের পরিচায়ক।

সবশেষে নিচে নৌকা আকৃতির চিহ্নে বোঝানো হয়েছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের নির্ভরতার প্রতীক।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এসএস/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :