‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ মে ২০২২, ১৭:৪৯
অ- অ+

১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ছিল না, গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন। অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে দ্বীপ্ত কন্ঠের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল।

সোমবার রাজধানীতে ‘ঐতিহাসিক ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। দুপুর ১২টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। সঞ্চালক ছিলেন আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। সূচনা বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার পর মুক্তিযু্দ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান মার্সাল ডেমোক্রেসি চালু করেছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমি তখন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছি। এবং আমরা সবাই স্লোগান দিয়েছিলাম, সেই দিন আকাশে অঝর ধারে বৃষ্টি হয়েছিলো। মনে হয়েছিলো প্রকৃতি বহুদিন পরে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে পেয়ে আনন্দে অশ্রু বর্ষণ করছে। প্রচন্ড গর্জনে মনে হচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ধিক্কার জানাচ্ছে প্রকৃতি।

ড. হাছান বলেন, শেখ হাসিনাকে বরণ করার অনুষ্ঠানে যাতে লোক সমাগম কম হয় সেজন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এমনকি শেখ হাসিনা যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি যেকোন মূল্যে দেশে আসবেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সে সময় ছোট বোন শেখ রেহানাসহ জার্মানিতে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণেই বেঁচে যান তারা।

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে পৌঁছান। তার আগে বিদেশে থাকা অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবু জাফর ওয়াজেদ, দৈনিক জাগরণ সম্পাদক ও প্রকাশক আবেদ খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়।

(ঢাকাটাইম/১৭মে/পিআর/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশ্বের ৪০০ উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫৭তম উত্তরা ইউনিভার্সিটি
লঙ্কানদের মাটিতে ইতিহাস গড়া জয় টাইগারদের
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ও ছবি ছড়াচ্ছে আ.লীগ: প্রেস উইং
গোপালগঞ্জে কড়াকড়ি কারফিউ চলছে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বলবৎ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা