‘সব ছেড়ে সারাক্ষণ গুলতি চরিত্রটিকে ক্যারি করতে হয়েছে’

বিনোদন প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০২২, ১৭:২২

নাজিফা তুষি। এ সময়ের অত্যন্ত সম্ভাবণাময়ী একজন অভিনেত্রী। প্রথমবার নজর কাড়েন ২০১৪ সালে ‘আইসক্রিম’ সিনেমাটি দিয়ে। অভিনয় ছাড়াও করেন মডেলিং এবং উপস্থাপনা। শুক্রবার (২৯ জুলাই) মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘হাওয়া’। সেখানে তাকে বেদেনীর চরিত্রে দেখা যাবে।

মেজবাউর রহমার সুমনের এই সিনেমা এবং তুষির ক্যারিয়ারের নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেন ঢাকা টাইমস-এর সঙ্গে। আলাপচারিতায় ছিলেন লিটন মাহমুদ। সম্পাদনায় আরিফ হাসান

কেমন আছেন?

আলহামদুলিল্লাহ, অনেক বেশি ভালো আছি

‘হাওয়া’ মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার। সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?

সবাই চায় তার কাজটা মানুষ দেখুক। একটি কাজের আলোচনা-সমালোচনা দুটোই আমি এপ্রিশিয়েট করি। আমি চাই, সিনেমা দেখার পর দর্শকের যা অনুভুতি তাই শেয়ার করুক। দর্শকের রুচি এখন অনেক বেশি চেঞ্জ হয়েছে। এজন্য আমার মনে হয় দর্শকের ভালো লাগলে নিদেদের ইচ্ছায়ই সিনেমাটা দেখবে।

সিনেমার একটি গান বেশ সাড়া ফেলেছে। ‘হাওয়া’র প্রচারণায় এটি কতটুকু সাহায্য করেছে?

আমাদের সিনেমার প্রচারণা একদমই অডিয়েন্সরা করছে। আমরা শুধু আমাদের সিনেমার দুটি কন্টেন্ট শেয়ার করেছি। দর্শক সেগুলো পছন্দ করে জনপ্রিয় করে তুলেছে। সব শ্রেণির মানুষ গানটির সঙ্গে নিজেকে কমিউনিকেট করতে পারে। কারণ, গানটার সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতি ও কালচার মিশে আছে।

সিনেমার প্রচারণায় বিভিন্ন ইউনির্ভাসিটিতে ঘুরলেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্মাদনা কেমন?

সত্যি বলতে, আমি আসলে এতটা আশা করিনি। এটা আমার জন্য একদমই নতুন এক্সপেরিয়েন্স। প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সন্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি। এটা সারাজীবন আমার মনে থাকবে। তারা আমাদের কাজকে অনেক ভালোবাসার মাধ্যমে প্রশংসা করেছে। এই মূহুর্তটা আমি দারুণভাবে উপভোগ করেছি।

সিনেমায় আপনার গুলতি চরিত্রটি নিয়ে কিছু বলুন

এক ধরনের রহস্য আছে গুলতির মধ্যে। যে রহস্য রিভিল হয় গল্পের বিভিন্ন ধাপে। ‘হাওয়া’তে গুলতি চরিত্র ইন করার পর থেকে গল্পের বাক পরিবর্তন হয়। তার জার্নি শুরু হয়। আপনারা সিনেমা দেখার সময় গুলতিকে আরও স্পষ্ট বুঝতে পারবেন।

তুষি থেকে গুলতি, প্রস্তুতিটা কেমন ছিল?

শুটিংয়ে যাওয়ার এক বছর আগে থেকে আমি এই সিনেমার সঙ্গে। চরিত্রটি কীভাবে তুলে ধরব, চরিত্রের জার্নি, এসব ‘হাওয়া’ টিমের মাধ্যমে শিখেতে হয়েছে। দীর্ঘদিন চর্চা করতে হয়েছে। এ সময়টা আমি তুষি হিসেবে জীবনযাপন করতে পারিনি। শাড়ি পরে ঘুরতাম, মাছ-তরকারি কাটতাম, রান্না করতাম। যা ব্যক্তি তুষির জন্য বেশ কষ্টকর। মোবাইলও ব্যবহার করতাম না। ফ্যামিলি, বন্ধু-বান্ধব সবকিছু বাদ দিয়ে এই সিনেমার জন্য একা থাকতে হয়েছে। সারাক্ষণ গুলতি চরিত্রটাকে ক্যারি করতে হয়েছে।

সিনেমায় আমার চরিত্রটা একজন বেদেনীর। তাদের জীবনযাপন যেহেতু আগে দেখিনি, এজন্য বেদেপল্লীতে গিয়ে তাদের লাইফস্টাইল দেখেছি, তাদের সঙ্গে থেকেছে, রান্না করেছি, খেয়েছি, ওদের জীবনযাপন বোঝার চেষ্টা করেছি। এটা দীর্ঘ সময়ের জার্নি।

সাগরের মাঝে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

আমার কাছে মনে হয়, আমরা একটা দুঃসাধ্য সফল করেছি। একটা যুদ্ধে যাওয়ার আগে মানুষ যেভাবে প্রস্তুতি নেয়। ভয় ত্যাগ করে মানসিক জোর, সৎ সাহস- ‘হাওয়া’ টিম আমাদেরকে এমনভাবেই তৈরি করেছিল। এ জন্য উত্তাল সাগরের মাঝে শুটিং করার সময় কাজটা সহজই মনে হয়েছে।

দর্শক আবার হলমুখী হচ্ছে। আপনার অনুভূতি কী?

অনুভূতি অবশ্যই ভালো। এতদিন ধরে এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। এখন সেই সুবর্ণ সুযোগ আসছে। লাস্ট একমাস ধরে আমি অনেক অসুস্থ। তার পরও সিনেমাটির প্রচারণায় সময় দিচ্ছি। কারণ এটা আমার কাজ, এটাতে আমাকে থাকতে হবে, দর্শকের কাছে যেতে হবে। আমি যেন সুস্থভাবে শেষ পর্যন্ত সিনেমাটির পাশে থাকতে পারি, দোয়া করবেন আমার জন্য।

আগামী কাজগুলো নিয়ে বলুন

আমি আসলে আগামী কাজ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ, পরবর্তী যে কাজটি নিয়ে আলোচনা চলছে, সেটি নাও হতে পারে। টিমের অবজারবেশন থাকে। তাই আমি বর্তমান কাজ নিয়ে কথা বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি।

ঈদে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’ বেশ প্রশংসিত হয়েছে। অনুভূতি কেমন?

খুবই ভালো। সবাই খুব পছন্দ করেছে ওয়েব সিরিজটি। মুক্তির পর থেকে এখনও পর্যন্ত ‘সিন্ডিকেট’ নিয়ে বেশ প্রশংসা পাচ্ছি। এমনকি ‘হাওয়া’র প্রমোশনে যখন যাচ্ছি, সেখানেও মানুষ ভাললাগার কথা জানাচ্ছে। এই যে ভালো লাগাটা, এটা আমাকে পরবর্তী কাজের জন্য অনেক অনুপ্রাণিত করে। কাজের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেয়।

(ঢাকা টাইমস/২৮ জুলাই/এএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :