দেশের ১০ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক: এলজিআরডি মন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০২২, ১৯:২৫| আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২২, ১৯:৫২
অ- অ+

দেশের প্রায় ১০ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক জানিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বিয়ের আগে পাত্রপাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া রোগীর চিকিৎসায় বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) সব ধরনের সহযোগিতা করবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।’ ঘরে ঘরে থ্যালাসেমিয়া নির্মূলে সচেতনতা তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

‘থ্যালাসেমিয়া অ্যান ইমার্জিং ন্যাশনাল হেলথ ইস্যু: ওয়ে টু মিনিফাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএসএমএমইউর এ-ব্লক মিলনায়তনে পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগ ও মুভমেন্ট ফর থ্যালাসেমিয়া ইরাডিকেশন ইন বাংলাদেশ (এমটিইবি) যৌথভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে থ্যালাসেমিয়া গাইড বুক ও স্যুভেনির, ‘রক্তিম সাহারার আত্মকথা’ প্রকাশিত হয় এবং রোগীরা তাদের করুন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পুনবার্সন ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে প্রয়োজনে আইন করতে হবে।

স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাভাবিক সময়ের স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি দুর্যোগ পূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পুনবার্সন ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। চলমান কোভিড অতিমারি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তরোগ। বিয়ের আগের পাত্রপাত্রীর রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তারা থ্যালাসেমিয়ার বাহক কিনা তা জানা সম্ভব। রক্তের সঙ্গে চোখেরও পরীক্ষা করা উচিত। পাত্রপাত্রী যদি উভয়ই চোখের মাইনাস পাওয়ারের হয় তবে তাদের সন্তানের চোখেও মাইনাস পাওয়ারের হবে। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ভর্তির সময় এবং বিয়ের সময় কাজী অফিসে বর-কনের রক্ত পরীক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বিএসএমএমইউর উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. জাহিদ হোসেন, সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ ও সেভ দ্যা চিলড্রেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা।

স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল। থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ পেশ করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. মোমেনা বেগম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/এএ/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০ পৌরসভায় শেষ হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল মারল কে?
কিছু ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ 
সিলেট থেকে ৪১৮ যাত্রী নিয়ে মদিনায় গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা