শিক্ষাব্যব্যস্থাকে সনদমুখী থেকে দক্ষতামুখী করতে হবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৪৮

দেশের তারুণ্যের শক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে হলে শিক্ষাব্যব্যস্থাকে সনদমুখী থেকে দক্ষতামুখী করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে শুধু অংক, ইংরেজি বা বিজ্ঞান শিক্ষাই যথেষ্ট নয়। চতুর্থ বিপ্লবের উপযোগী ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞানঅর্জন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফিউচারনেশন জব উৎসব ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমি বিশ্বাস করি ফিউচারনেশনের টার্গেট অনুযায়ী ডিআইইউ’র জব উৎসবে তিন হাজার শিক্ষার্থীর চাকরি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কেবল ঢাকায় নয় দেশজুড়ে এই উৎসবের মাধ্যমে ১০ লাখ চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আয়োজকদের জেলা শহরেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২ হাজার ২০০ কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ধরনের জব ফেয়ার করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা করানোর অনুরোধ জানান।

পলক বলেন, আইসিটি বিভাগের অধীনে ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভ. অ্যান্ড ইকোনোমিক (এজ) প্রকল্প রয়েছে। যেখান থেকে আমরা বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আইসিটি খাতে ২০ হাজার চাকরি দিতে চাই। আমরা আশা করছি, আইসিটি খাতে যেভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে তাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ জব টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হবে।

এ ধরনের জব ফেয়ার করার জন্য আমরা আইসিটি বিভাগের শেখ রাসেল আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহারের সুযোগ দেবো জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে এআর, ভিআর সমৃদ্ধ ৩০০ স্কুল অব ফিউচারের অবকাঠামো ও সরঞ্জাম তারা ব্যবহার করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।

২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে একটি জ্ঞান নির্ভর, উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষতা নির্ভর প্রজন্ম গড়ে তুলতে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

স্মার্ট ইউনিভার্সিটি হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এই চারটি কোর্স এর অনুমোদন নিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে কাজ শুরু করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী। এই চারটি ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজনীয় ল্যাব সাপোর্ট প্রয়োজন হয় আইইসিটি ডিভিশন থেকে তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, একটি ইনোভেটিভ সল্যুশন একটি দেশের জন্য বিলিয়ন ডলার অপারচুনিটি সৃষ্টি করতে পারে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশস্থ আবাসিক প্রতিনিধি মিসেস ভ্যান গুয়েনের, গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হোয়েগ হেনরিকসেন, ড্যাফোডিল গ্রুপের সিইও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ইউনিভার্সিটির একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল।

এছাড়াও স্বাগত বক্তব্যে দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম মাহবুব উল হক মজুমদার।

(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/কেআর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :