ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে করে এ ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগ ও হলের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।
পুর্নমিলনীর অন্যতম উদ্যোক্তা আরিফ আহমেদ। তিনি এ শিক্ষাবর্ষের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি সবাইকে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে যুক্ত করেছেন এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
তিনি প্ল্যাটফর্মটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মটি সৃষ্টি করার মূল উদ্দেশ্য হলো আমরা একই সেশন ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও অনেকের সাথে দেখা হয়নি, কথা হয়নি। এই প্ল্যাটফর্মটি যাত্রা শুরু হয়েছিল ছোট্ট একটা ফেসবুক গ্রুপ দিয়ে। গ্রুপে একজন, দুইজন করে যুক্ত করে আমাদের এখন তিন হাজার বন্ধু আছে। আমরা ২০১১-১২ সেশনে প্রায় ৬ হাজার বন্ধু ভর্তি হয়েছিলাম।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার জনকে এই প্ল্যাটফর্মে কানেক্ট করেছি। আমরা আশা করছি এই প্ল্যাটফর্মে আরও বন্ধুবান্ধব যুক্ত করতে পারব। এর মাধ্যমে ব্যাচের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের উন্নয়ন হবে। আমরা এক-আরেকজনের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারব। আমরা এই প্ল্যাটফর্মটিকে সোশ্যাল অরগানাইজেশান হিসেবে রিকুইগনাইজ করতে চাই।’
২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ‘আমাদের ২০১১-১২ সেশনের সকল বন্ধুরা উৎসবমুখর পরিবেশে এক হয়েছি। বর্তমানে ব্যাচের বন্ধুরা বিভিন্ন পেশায় যুক্ত রয়েছে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সবাই একত্র হওয়ার সুযোগ হয়েছে। তাই, আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা ১ম বর্ষের সেই দিনগুলোতে ফিরে গেছি।’
এ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী রনি মুহাম্মদ বলেন, ‘বন্ধুত্বের সম্পর্কটা এরকম যেটা যেকোনো সম্পর্কে ছাড়িয়ে যায়। আমাদের ব্যাচের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও হলের বন্ধুরা দীর্ঘদিন পর এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একত্রিত হয়েছি। এটা অত্যন্ত ভালো লাগার। অনুষ্ঠানের বিচিত্রধর্মী অনুষ্ঠানকে সবাই এনজয় করছেন।’
খোরশেদ আলম শাওন জানান, ‘প্রায় এক দশক পরে ৬ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর একটা ব্যাচ সফলভাবে একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারছি। ক্যাম্পাস ছাড়ার ৬ বছর পর পুনর্মিলনীর আয়োজনের ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবাই একত্র হয়েছি। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কথা বলেছি। অনেকেই বিয়ে করেছে। তাদের বউ আসছে, ফ্যামিলি আসছে। সবার সাথে পরিচিত হয়েছি। এটা সত্যিই অনেক বড় মিলনমেলা ছিল। মনে হচ্ছিল, ছাত্রজীবনে আমরা আবার ফেরত এসেছি।’
এছাড়াও, পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। তারা উভয়ই এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/এসকে/এসএম)

মন্তব্য করুন