ডিবিপ্রধান হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ এনে আদালতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে একই আদালতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. নাজিমউদ্দিন আলম রবিবার মামলাটির আবেদন করেন।
মামলায় ডিবি প্রধান হারুন ছাড়াও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসান, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপপুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, এসি মতিঝিল জোন গোলাম রুহানি, আনসার সদস্য আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমান। এছাড়াও আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্য।
ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
মামলার আবেদনের পর অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানিয়েছিলেন, শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আজই ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
মামলার আবেদনে যা ছিল:
মামলার আবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস, অকটেন, ডিজেল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দলটি বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর ঘোষণা করে।
যার ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিবাদ গণসমাবেশ হয়। এরই অংশ হিসেবে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের তারিখ নির্ধারিত ছিল। দেশ থেকে নেতাকর্মী ও গণতন্ত্রকামী জনতা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসা যাওয়া করতে থাকে। বিষয়টি অতি উৎসাহী আসামিদের নজরে আসে এবং অনুষ্ঠানটি বানচালের ষড়যন্ত্রের ছক কষতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০/১২ জন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলার তালা ভেঙ্গে ফেলে। জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি ধ্বংস করে।
এরপর আসামিরা দ্বিতীয় তলায় গিয়ে তালা ও লক ভেঙ্গে ফেলে। তারা একটি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার নিয়ে নেয় যার আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা। এভাবে তারা কার্যালয় থেকে ৪৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় এবং তিন লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল ক্ষতি করে।
(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/এজে/ডিএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
আদালত এর সর্বশেষ

কান-মুখ খোলা রাখতে শিক্ষার্থীকে বাধ্য করা যাবে না: হাইকোর্ট

আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা মামলার সাক্ষ্য ৩ মে

বাড্ডায় গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৪ মে

ঢাবির ছাত্রীদের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত করল হাইকোর্ট

মেয়র পদে জাহাঙ্গীর ফিরবেন কি না, জানা যাবে বৃহস্পতিবার

হাইকোর্টে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, যা জানা গেছে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু নিয়ে

নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু: পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

সেই প্রযোজকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাকিব খানের মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
