পথে নামলে সংসার চলে আব্দুল আলীর

পুলক রাজ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৬

প্রতিবন্ধী আব্দুল আলীর বয়স ৫৫ ছুঁইছুঁই। বয়সটা এখন আরাম-আয়েশের। কিন্তু রাজধানীর পথে পথে ভিক্ষা করছেন তিনি। তার দাবি, সংসারের মায়া আর জীবনের জন্য বাধ্য হয়েই ভিক্ষায় নেমেছেন। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও ভাতা পান না। তিনি পথে নামলেই চলে ৫ সদস্যের সংসার।

ময়মনসিংহের মিন্টু মিয়ার ছেলে আব্দুল আলী। পরিবারে এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার তার। সবাই থাকেন গ্রামে। অসুস্থ স্ত্রী, দুই মেয়ে প্রতিবন্ধী আর ছেলে নিজ এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র। পরিবারের সকল সদস্যদের ভরণ-পোষণ করতে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীর অলিগলি, অফিস পাড়ায় ভিক্ষা করেন তিনি।

সম্প্রতি শাহবাগ এলাকায় ঢাকা টাইমস প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় আব্দুল আলীর। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘রাজধানীর অলিগলিতে প্রতিদিন ভিক্ষা করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। এর মধ্যে স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ, প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের খরচ। ছোট ছেলের পড়ালেখার ও নিত্যপণ্যের খরচ পাঠিয়ে দিন শেষে নিজের জন্য কিছুই থাকে না।’

আব্দুল আলী বলেন, ‘কষ্টের কথা কাকে বলবো? রাত যায় দিন যায়; খাইলে খাই না খাইলে নাই। কেউ দেখার নাই। যেদিন আয় কম হয় সেদিন না খেয়ে থাকি। তবে প্রাণ যতদিন আছে আমার পরিবারের হাল ছাড়বো না।’

তবে কোনো কাজের সুযোগ পেলে ভিক্ষা ছেড়ে দেবেন জানিয়ে আব্দুল আলী বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি বা শীত সব সময়ই পথে-ঘাটে থাকি। রাতে যখন যেখানে জায়গা পাই, সেখানেই ঘুমাই। অনেক সময় মানুষের কিল-ঘুষিও খেতে হয়। কষ্টের জীবন পার করছি। তবু যেন আমার পরিবার একটু শান্তিতে থাকতে পারে। তবে খুব খারাপ লাগে যখন মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করি। আমি চাইনা ভিক্ষা করতে। বাধ্য হয়ে এই পথে চলতে হচ্ছে। অন্য কাজকর্ম পেলে ভিক্ষা করবো না।’

তবে নিজে ভিক্ষা করলেও পরিবারের কাউকে ভিক্ষা করতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ আব্দুল আলী। ছোট ছেলেকে পড়ালেখা করিয়ে বড় অফিসার বানাতে চান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :