দুটি কবিতা

মোহাম্মদ জসিম
| আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৪ | প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩১

দ্বাদশ অধ্যায়

এই অধ্যায়ে তোমার চোখ আর চুল কিংবা গালভর্তি বসন্তের দাগ নিয়ে আলোচনা হোক, ঋতি রায়-উহ্য থাক স্মৃতিক্ষত, মনবদলের গল্পগাছা...

জোৎস্নায় যা কিছু সুন্দর-যেমন ধরো তোমার প্রশস্ত কাঁধ কিংবা বুক, বুকের উপত্যকায় লালরঙ তিল নিয়ে কথা হোক এই অধ্যায়ে; হৃদযন্ত্রের ধুকপুকানি-আর যত ঢেউ সবকিছু এড়িয়ে যাব আজ।

নাভিতে নয়নতারা ফুটে থাকে-ক্রমাগত নিকটবর্তী হই সমুদ্ররেখার। এই সুসজ্জিত ভ্রমণের শেষভাগে লবনচাষীদের জন্য রেখে যাওয়া সুসংবাদ নিয়ে কথা হোক।

বিগত অধ্যায়সমূহে আলোচিত চিৎকারগুলো আপাতত লুকিয়ে রাখো খামারবাড়ির কালকুঠুরিতে; খরা ও খরিপ যতগুলো মৌসুমি বাতাসের শব্দ আমরা জমিয়েছি বুকের গভীরে-আজ তার কিছুই ছোঁব না...

কথা পরম্পরায়-এই অধ্যায়ে আমরা শুধু গোলাপি কার্ডিগেন, তার লাল বোতাম আর অস্তায়মান সূর্য নিয়ে আলাপ করব-যতটা গভীরে গেলে নীলরঙ উথলে ওঠে ততটা গভীরে যাব না মোটেই।

পর সমাচার এই যে...

ব্যাংক তোকে রাখল না- হাসপাতালও ছেড়ে দিল তোকে;

আজীবনের মতো আলো যেইভাবে ছেড়ে যায় অন্ধকে!

তোকে নিচ্ছে না কার্নিভাল,

কথোপকথন-ঠাট্টা ও হাসি!

ফিরিয়ে দিচ্ছে মাঝি; বাস কন্ডাক্টর; রোগা চাষী...

পিথাগোরাসের সূত্র তোকে ভুলে গেছে।

তাড়িয়ে দিয়েছে ত্রিভূজ,

রম্বস ও বৃত্ত-

গণিতের রাশিফলে আজীবন ভাগশেষ তুই, শুধু উদ্বৃত্ত!

আরো কত দুঃখ তোর, পত্রযোগে পাই... দুঃখেরও দুঃখ এই-আমি, তুই স্বপ্ন পোড়া ছাই!

এই শেষ পত্র নয়, অখিলেশ-তোকে আমি পত্র দেবো আরো,

চুপচাপ পড়ে থাক, মরে থাক-উত্তর দিস না এবারও।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :