দুটি কবিতা

দ্বাদশ অধ্যায়
এই অধ্যায়ে তোমার চোখ আর চুল কিংবা গালভর্তি বসন্তের দাগ নিয়ে আলোচনা হোক, ঋতি রায়-উহ্য থাক স্মৃতিক্ষত, মনবদলের গল্পগাছা...
জোৎস্নায় যা কিছু সুন্দর-যেমন ধরো তোমার প্রশস্ত কাঁধ কিংবা বুক, বুকের উপত্যকায় লালরঙ তিল নিয়ে কথা হোক এই অধ্যায়ে; হৃদযন্ত্রের ধুকপুকানি-আর যত ঢেউ সবকিছু এড়িয়ে যাব আজ।
নাভিতে নয়নতারা ফুটে থাকে-ক্রমাগত নিকটবর্তী হই সমুদ্ররেখার। এই সুসজ্জিত ভ্রমণের শেষভাগে লবনচাষীদের জন্য রেখে যাওয়া সুসংবাদ নিয়ে কথা হোক।
বিগত অধ্যায়সমূহে আলোচিত চিৎকারগুলো আপাতত লুকিয়ে রাখো খামারবাড়ির কালকুঠুরিতে; খরা ও খরিপ যতগুলো মৌসুমি বাতাসের শব্দ আমরা জমিয়েছি বুকের গভীরে-আজ তার কিছুই ছোঁব না...কথা পরম্পরায়-এই অধ্যায়ে আমরা শুধু গোলাপি কার্ডিগেন, তার লাল বোতাম আর অস্তায়মান সূর্য নিয়ে আলাপ করব-যতটা গভীরে গেলে নীলরঙ উথলে ওঠে ততটা গভীরে যাব না মোটেই।
পর সমাচার এই যে...
ব্যাংক তোকে রাখল না- হাসপাতালও ছেড়ে দিল তোকে;
আজীবনের মতো আলো যেইভাবে ছেড়ে যায় অন্ধকে!
তোকে নিচ্ছে না কার্নিভাল,
কথোপকথন-ঠাট্টা ও হাসি!
ফিরিয়ে দিচ্ছে মাঝি; বাস কন্ডাক্টর; রোগা চাষী...পিথাগোরাসের সূত্র তোকে ভুলে গেছে।
তাড়িয়ে দিয়েছে ত্রিভূজ,
রম্বস ও বৃত্ত-
গণিতের রাশিফলে আজীবন ভাগশেষ তুই, শুধু উদ্বৃত্ত!আরো কত দুঃখ তোর, পত্রযোগে পাই... দুঃখেরও দুঃখ এই-আমি, তুই স্বপ্ন পোড়া ছাই!
এই শেষ পত্র নয়, অখিলেশ-তোকে আমি পত্র দেবো আরো,
চুপচাপ পড়ে থাক, মরে থাক-উত্তর দিস না এবারও।

মন্তব্য করুন