সালথায় ভোগান্তি ছাড়াই অনস্পট ডিলিং লাইসেন্স পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরা

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৪

ফরিদপুরের সালথায় কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই অনস্পট ডিলিং লাইসেন্স পেলেন ব্যবসায়ীরা। কিছুদিন আগেও এ লাইসেন্স পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। এমন পরিস্থিতে অনস্পট ডিলিং লাইসেন্সিং কার্যক্রমের উদ্যোগ নেন জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সালথা বাজারের ৬৪ জন ব্যবসায়ীর হাতে লাইসেন্স তুলে দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম এসব ব্যবসায়ীরা অনস্পট ডিলিং লাইসেন্স পেলেন। প্রশাসনের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগে খুশি ব্যবসায়ীরা।

সালথা বাজারের ব্যবসায়ী বিপুল কুমার সাহা বলেন, লাইসেন্স করতে গিয়ে আমাদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। অনেক সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে লাইসেন্স করার জন্য ফরিদপুর গিয়ে বসে থাকতে হয়েছে। আবার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে তা নবায়ন করতেও সময় লাগতো। এখন যেভাবে অনস্পট ডিলিং লাইসেন্সিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এতে আমরা অনেক খুশি হয়েছি।

মো. ছিরু মাতুব্বর নামে বাজারের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আগে লাইসেন্স করতে প্রথমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে আবেদন করতে হয়েছে। এরপর সরকারি ফি ও ভ্যাট বাবদ টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আবার প্রশাসকের অনুমোদন ও লাইসেন্সে স্বাক্ষর নিতে অপেক্ষা করা তো লাগতোই। একটি লাইসেন্স পেতে মাসের পর মাস সময় লেগেছে। মঙ্গলবার যেভাবে আমাদের অনস্পট লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তাতে আমরা অনেকটা ঝামেলা মুক্ত হয়েছি। সালথা বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন বাচ্চু ঢাকা টাইমসকে বলেন, লাইসেন্স করতে সরকারি খরচ বাদেই একজন ব্যবসায়ীকে সালথা থেকে কয়েক দফা ফরিদপুর যেতে হয়েছে। ফলে ভাড়াসহ বাড়তি খরচ এবং সময় লস হতো। এখন বাড়তি খরচ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানে বসেই অনস্পট ডিলিং লাইসেন্স পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সময় আর খরচ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে নাগরিক সেবা সহজ করার উদ্যোগ হিসেবে ব্যবসায়ীদের অনস্পট ডিলিং লাইসেন্সিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। একজন ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স পেতে মাসখানেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেকে লাইসেন্স নিতে আগ্রহী হয় না এবং সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। ব্যবসায়ীদের এই দুর্ভোগ হতে মুক্তি দিতে জেলা প্রশাসক অনস্পট ডিলিং লাইসেন্সিং কার্যক্রম চালু করেছে। দেশের মধ্যে সালথাই প্রথম এ কার্যক্রম চালু হলো।

তিনি আরো বলেন, এখন থেকে ব্যবসার ধরণ অনুসারে ব্যবসায়ীরা চালানযোগে সরকারি ফি ও ভ্যাট জমা দিয়ে কাগজপত্র আমার কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। আমি এসব কাগজ জেলায় পাঠিয়ে দেব। পরদিন স্বাক্ষর হয়ে আসবে ডিলিং লাইসেন্স। ফলে মাত্র দুই দিনের মধ্যেই লাইসেন্স হাতে পাবেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাড়তি খরচ আর সময়ও লস হবে না

(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :