ফের আ.লীগের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, উত্তপ্ত বাউফল

পটুয়াখালীর বাউফলে সংঘর্ষের চার দিনের মাথায় আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের পক্ষ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার পক্ষ।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় বাউফল পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) সহ-সভাপতি তালুকদার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। গত শুক্রবার সংঘর্ষের জেরে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা দিলেন।
অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির গ্রুপের উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (একাংশ) মো. আনিছুর রহমান একই দিন বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ইউনিয়ন ও পৌর শহরে দিন ভর নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এর আগে গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে মোতালেব হাওলাদারসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়াম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতে আহত হন।
আবদুল মোতালেব হাওলাদার গ্রুপের তালুকদার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, এমপি আসম ফিরোজ সাহেবের গ্রুপ বিএনপি জামায়েতের নৈরাজ্যের নামে আমাদের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছেন।
আমরা যে কোনো মূল্যে আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করবো। আমাদের কর্মসূচির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারফ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যর প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ ঘোষণা করেছি। আমরা কারো কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার দিনভর সকল ইউনিয়ন ও পৌর শহরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। আমরা এ বিষয়টি ইউএনও, ওসি, ডিসি ও এসপিকে অবহিত করেছি।
কর্মসূচির বিষয়ে এক পক্ষের চিঠি পেলেও অপর পক্ষের কোনো চিঠি পাননি বলেন বাউফল থানার ওসি আল মামুন।
উল্লেখ, গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আনন্দ মিছিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ গ্রুপের হামলায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ অন্তত ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/এআর)

মন্তব্য করুন