নিজে ফেঁসেছিলেন, মোদিকে ফাঁসাতেও চাপ ছিল সিবিআইয়ের! বিস্ফোরক অমিত শাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩, ১১:০৬ | প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৫

সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট— ভারতের এ দুটি সরকারি সংস্থার ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে সাম্প্রতিককালে সরব হয়েছেন দেশটির বিরোধীরা। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছে ১৪টি বিরোধী দল। তারই মধ্যে সিবিআইয়ের ‘অপব্যবহার’ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

দেশটির সফল এই রাজনীতিবিদ দাবি করেছেন, ২০০৫ সালের সোহরাব উদ্দিন এনকাউন্টার মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছিল। অমিত শাহর আরও দাবি, গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফাঁসানোর জন্যেও নাকি তার ওপর সিবিআইয়ের চাপ ছিল।

বুধবার এক অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে অমিত শাহ বলেন, ‘আমি সিবিআইয়ের অপব্যবহারের শিকার হয়েছিলাম। কংগ্রেস দুর্নীতির কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি আমাদের বিরুদ্ধে। এই আবহে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন একটি এনকাউন্টারের ঘটনায় তারা আমাকে অভিযুক্ত করেছিল এবং গ্রেপ্তার করেছিল।’

অমিত শাহের দাবি, ‘সিবিআই কর্মকর্তারা আমাকে বলেছিলেন, কেন অযথা চিন্তা করছি আমি। মোদির নাম নিলেই আমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমরা সে সময় কালো পোশাক পরে প্রতিবাদে নামিনি। সংসদ অচল করে দিইনি।’

২০০৫ সালে গুজরাটে সোহরাব উদ্দিন শেখ নামক এক সন্দেহভাজন জঙ্গি এবং তার স্ত্রী কৌসর বাই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল, জেনে বুঝে নিরস্ত্র সোহরাব উদ্দিন এবং তার স্ত্রীকে এনকাউন্টারে মেরেছিল গুজরাট পুলিশ। ওই ঘটনায় মামলা হয় এবং সে মামলায় ২০১০ সালে অমিত শাহকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।

সে সময় ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপহরণ, হত্যা এবং প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে ২০১৪ সালে অভিযোগগুলো প্রমাণিত না হওয়ায় সিবিআইয়ের আদালত অমিত শাহকে ওই মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেয়।

সেই ঘটনা নিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় ৯০তম দিনে আমাকে জামিন দেওয়া হয়। আমার মামলা ছিল মুম্বাইতে। সেই আদালত তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছিল যে রাজনৈতিক চাপের কারণে সিবিআই আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘এই আবহে আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ক্ষমতায় ছিলেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং, পি চিদাম্বরমরা। আমরা এখন তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা আনছি না। তবে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে মামলা করে তদন্ত চালাচ্ছি।’

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

তীব্র গরমে বিশ্বব্যাপী বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

গাজা ইস্যুতে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো 

ফের দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

ইরানে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিজেরাই ধ্বংস করে ইসরায়েল!

মালদ্বীপে সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দল

পাকিস্তান সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি 

ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ 

২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করলো কলকাতা হাইকোর্ট

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান তুরস্কের

সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীর রকেট হামলা  

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :