নোয়াখালীর হাতিয়া পুলিশ ক্যাম্পে এএসপি-ওসি অবরুদ্ধ, ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ মে ২০২৩, ২৩:১৪ | প্রকাশিত : ১১ মে ২০২৩, ২৩:০৮

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরনি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড টাংকিরঘাট এলাকায় রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে উত্তেজিত জনতা। পরে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর নোয়াখালী জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে রামগতি নিজ স্টেশনে ফিরে গেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রামগতির উদ্দেশে রওনা করেন অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা। এর আগে নোয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টির সমাধান করেন।

বিজয়া সেন জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পে পৌঁছি। স্থানীয় মেম্বারের সাথে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রামগতি সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি ছিল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স-এর পাশাপাশি নোয়াখালীর পুলিশ ওই ক্যাম্পে থাকতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি তাৎক্ষণাৎ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয়দের দাবীকৃত নোয়াখালীর ১০জন পুলিশ সদস্যকে ওই ক্যাম্পে সংযুক্ত করেছি। যার মধ্যে একজন ইন্সপেক্টর, একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারি উপ-পরিদর্শক ও ৭জন কনেস্টবল থাকবে।

তিনি আরও জানান, টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পটি রেঞ্জের অধিনে। ওই ক্যাম্প কখনও রামগতি বা লক্ষ্মীপুরের অধিনে ছিল না। এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভূল ধারণা ছিল। আজকের পর থেকে ওই এলাকায় রামগতি পুলিশের কোন কার্যক্রম থাকবে না।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারি পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পে আসেন। পরে তারা ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ক্যাম্পের গোল ঘরে বসেন। এরকিছুক্ষন পর ওই গোল ঘরে আসেন স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবুল হোসেন সুজন ও টাংকির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত হোসেন। পরে পুলিশ গোল ঘর থেকে তাদের বের করে দিলে বিষয়টি বাজারে উপস্থিত লোকজনের নজরে আসে এবং তারা উত্তেজিত হয়ে ক্যাম্প ঘেরাও করে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানীয় কয়েক হাজার লোকজন একত্রিত হয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :