আশুলিয়ায় জেএমবির সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ মে ২০২৩, ১৪:৫৭

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি)’ একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম মো. আনারুল ইসলাম। ঢাকার আশুলিয়া থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আশুলিয়া থানার জিরাবো ম্যাগপাই বাসস্ট্যান্ড থেকে মো. আনারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আনারুল ইসলাম ঢাকার আশুলিয়া থানার বিভিন্ন কারখানায় ওয়েলডিং মিস্ত্রি হিসেবে চাকরি করতেন। এর আড়ালে তিনি গত দেড় বছর নাম পরিচয় গোপন করে জেএমবির সাংগঠনিক কাজ করে আসছেন। তিনি দীর্ঘ আট বছর ধরে নিষিদ্ধ জেএমবির সদস্য হয়ে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় আছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আনারুল জানান, তিনি প্রথমে হানাফি মাযহাবের তরিকায় নামাজ পড়তেন পরবর্তীতে মাযহাব পরিবর্তন করে আহলে হাদিসের তরিকায় নামাজ পড়া শুরু করেন। তখন নীলফামারী ইপিজেড এলাকায় চাকরি করার সময় জেএমবি সদস্য আহিদুলের সাথে তার পরিচয় হয়। আর পরবর্তীতে তার মাধ্যমে তিনি জেএমবিতে দীক্ষিত হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আনারুল ইসলাম জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে সংগঠনকে সমর্থন, চাদাঁ প্রদান, পরিকল্পনা, প্ররোচনায় সহায়তা দিয়ে আসছিলেন। তিনি জেএমবির সদস্যপদ গ্রহণ করে তার সহযোগীদের সাথে পরস্পর যোগসাজোসে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মতাদর্শ প্রচার করে নাশকতামূলক কার্যক্রমে উস্কানি দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে নীলফামারী সদর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩)-এর ৮/৯(৩)/১২/১৩ একটি মামালা হয়। ওই মামলায় তিনি চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি।

অ্যাটিইউ জানায়, ২০২১ এবং ২০২২ সালে নীলফামারী সদর থানার ইপিজেড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তার সহযোগী জেএমবি সদস্য আহিদুল, নুর আমীন, ওয়াহিদ, আপেলসহ বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হন। তখন জেএমবি সদস্য হিসেবে আনারুলের নাম প্রকাশ পেলে তিনি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তারপর থেকে তিনি ঢাকার আশুলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় পলাতক থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩)- এর ৮/৯(৩)/১০/১২/১৩ ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত মো. আনারুল ইসলাম নীলফামারী জেলার সদর থানার সুটিপাড়া ফুলতলা গ্রামের মো. মফিজ উদ্দিনের ছেলে।

(ঢাকা টাইমস/২৭মে/এএ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

সোনালী লাইফের বহিষ্কৃত সিইও মীর রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

চাকরির পরীক্ষার আগেই মিলত উত্তর, চুক্তি ১২-১৪ লাখ টাকায়: ডিবি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার, বিপুল কনটেন্ট জব্দ

এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা: ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি

স্ত্রীসহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডিবিতে যা বলেছেন কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান

শেরপুরের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

খেলনার প্যাকেটে আমেরিকা থেকে এসেছে কোটি টাকার গাঁজার চকলেট-কেক

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :