বাজেটকে জনবান্ধবহীন বললেন জিএম কাদের

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)। বলেন, ‘নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে তা এই বাজেটে নেই। এই বাজেট জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না, এটা জনবান্ধবহীন বাজেট।’
বৃহস্পতিবার বিকালে বাজেট অধিবেশন শেষে জাতীয় সংসদের মেটাল গেটে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
জিএম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকে সমানে রেখে- নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে এক লাখ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এই বাজেট বাস্তবসম্মত মনে করছি না। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে আছে। এমন বাস্তবতায় যে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে তা হয়তো আদায় হবে না।’
‘বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণ। বর্তমান বাস্তবতায় ইচ্ছে করলেই বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। ডাইরেক্ট ট্যাক্সের পাশাপাশি সব কিছুতেই ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে। কিন্তু জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলবে।’ বলেন জিএম কাদের।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ‘এই বাজেট দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না, তাদের হয়তো অন্য মেকানিজম আছে। এই বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। এই পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সব কিছুই করা সম্ভব। কৃচ্ছতা সাধনের জন্য পরিচালন ব্যয় কমানো দরকার। আমরা মনে করি, আগে যা ছিল তাই বেশি ছিল। যেটা আমাদের বাজেট দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া যেতো না। আমাদের উন্নয়ন ব্যয় দেশি ও বিদেশি ঋণ নির্ভর ছিল, এটা এখন আরো বেড়েছে।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরিচালন ব্যয় খুব সহজভাবে ব্যয় করা যাবে। যেখানে-সেখানে ব্যয় করা যাবে নিয়ে। পরিচালন ব্যয় দিয়ে নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ নিতে পারবে। উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। উন্নয়ন করে জনগণকে দেখানোর টেন্ডেন্সি অনেক কম। অর্থ দিয়ে নির্বাচন পার করার একটি পরিস্থিতি হতে পারে।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ‘এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা, কারণ জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে নির্বিঘ্নে বলা যায়। এমনিতেই দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, সাধারণ মানুষের রিলিফ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে তাতে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে। আমার মনে হয়, এই বাজেটে দ্রব্যমূল্য কমবে না বরং বাড়বে।’
(ঢাকাটাইমস/০১জুন/জেবি/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের ‘না’

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আজই মতামত: আইনমন্ত্রী

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

আওয়ামী লীগের যৌথসভা বিকালে

সাংবাদিক নির্যাতন: ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের ৬ কর্মী বহিষ্কার

অক্টোবর ঘিরে চলবে রাজপথ দখলের লড়াই

সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনে বাধা দিলে রাজপথে বিএনপিকে প্রতিহত করা হবে: হানিফ
