ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন, কী ভাবছে আ.লীগ

জাফর আহমেদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩, ১৭:৫২ | প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২৩, ১২:২৭

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন আগামী ১৭ জুলাই। আসনটি গুলশান-বনানীসহ কূটনৈতিক পাড়া নিয়ে গঠিত হওয়ায় এর ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। এ আসনে দল থেকে মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের অন্তত এক ডজন নেতা। তবে এ উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

আজ শনিবার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হচ্ছে এ আসনের জন্য। এ আসনে যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, তার মেয়াদকাল হবে ৫ মাস। অর্থাৎ আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই মেয়াদ শেষ হবে এই উপনির্বাচনে নির্বাচিত এমপির। তবে আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, এই আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন।

এদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় দলের নেতা ছাড়াও অভিনেতা ও জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারের নাম শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে কেউ কেউ ব্যানার পোস্টার ছাপিয়ে আগাম প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন। মনোনয়ন পেতে লবিং করছেন দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কোনো কোনো নেতার সঙ্গেও।

এই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ১৮ মে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদ সচিবালয়। কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের বিধান রয়েছে।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস ও ভাসানটেক নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এলাকাগুলো ঢাকা-৫ আসনভুক্ত ছিল। কূটনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত এই আসনে বহু বছর ধরে নিজ দলের পদধারী কাউকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের দাবি, কোনো ‘অতিথি পাখি’ নয়, এবার এই আসনে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের দিতে হবে মনোনয়ন।

তবে এই আসনে প্রার্থী মনোনয়নে চমক থাকবে বলে জানায় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র। কারণ হিসেবে দলটির নেতারা বলছেন, সেনানিবাস ও কূটনৈতিক পাড়া হওয়ায় এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে- যিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং যার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দুই সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের খান ও ওয়াকিল উদ্দিন মনোনয়ন চাচ্ছেন। তারা আলোচনাতেও রয়েছেন। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছিলেন আব্দুল কাদের খানকে। পরবর্তীতে আবার চিত্রনায়ক আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুককে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও এই আসনে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আলোচনায় রয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ও নাট্যকার-অভিনেতা-নির্মাতা সিদ্দিকুর রহমান।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ঢাকা-১৭ আসন একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। আমি এই আসনে প্রার্থী না। আমাকে নিয়ে একটা পক্ষ এসব করার চেষ্টা করছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, পঁচাত্তরের পর থেকে বনানী এলাকায় আছি। বনানীতে বঙ্গবন্ধু পরিবার ও স্বজনদের সমাধি আমিই প্রথম সামরিক সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করি। জেল-জুলুম, অত্যাচার সহ্য করেই রাজনীতি করেছি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি কিছু চাইনি। গতবার আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলছেন আমি করছি। এবার আমি ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদী।

(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/জেএ/আরআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :