জ্বালানি সংকট ও আমদানি নিয়ন্ত্রণে চাপে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০২৩, ২৩:০৩

বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি সংকটে রয়েছে এবং কয়েক মাস ধরে আমদানির ওপর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে। এসব কারণে দেশের শিল্প উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতে বড় ধরনের চাপে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

বিশ্বব্যাংক তাদের সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জন্য একটি ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশ্বব্যাংক বলছে, আইএমএফের এই ঋণ নেওয়ার পেছনে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য রক্ষা করা এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া।

বিশ্বব্যাংক বছরের শুরুর মাসে আরেকটি ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে ৫ দশমিক ২ শতাংশের কথা বলা হয়। এ ছাড়া আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০২৪–২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। নতুন প্রতিবেদনেও একই পূর্বাভাস রেখেছে বিশ্বব্যাংক। যদিও সরকার চলতি ও আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

সংস্থাটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য ব্যাহত হওয়া ও বিনিময় হারের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও এমনটি করেছিল। ফলে এসব দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তবে এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেশ কিছু খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্বব্যাংক বলছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমে এসেছে। তা সত্ত্বেও এসব দেশ বিদ্যমান খাদ্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ২০২৩ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে পারে। এ ছাড়া দেশে কর্মসংস্থানের উন্নতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আগেরটি বহাল রাখলেও প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে পূর্বাভাস আগের চেয়ে বাড়িয়েছে। জানুয়ারির প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ১ শতাংশে গিয়ে ঠেকতে পারে। যদিও এটি ২০২২ সালের ৩ দশমিক ১ শতাংশ ও ২০২১ সালের ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম। তবে ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি আবার ৩ শতাংশে প্রত্যাবর্তন করবে বলে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়।

মহামারি করোনা, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কঠোর মূল্যস্ফীতিবিরোধী পদক্ষেপের সম্মিলিত প্রভাবে দরিদ্র দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।

ঢাকাটাইমস/০৭জুন/আরকেএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :