বরিশালে বহিষ্কৃত আ.লীগ নেতা কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

বহিষ্কৃত বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে নালিশী মামলা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা।
বুধবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে নালিশী অভিযোগ দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর রহমান।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ফারুক হোসেন নালিশী অভিযোগ তদন্ত করে কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে পিপি ইসতিয়াক হোসেন রুবেল জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিবাদী হলো- বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য শরীফ আনিসুর রহমান। সে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টায় এ অভিযোগ কোতয়ালী মডেল থানায় দিয়েছিলেন বলে জানান ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য কেএম শরীয়তুল্লাহ।
তিনি বলেন, থানায় এই অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে দেয়ার অনুরোধ করেন। তাই সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।
এর আগেও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারের কাছেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ওই অভিযোগের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফিন মাহমুদ তারেকের বিরুদ্ধে গত ৪ জুন সংবাদ সম্মেলন করে শরীফ আনিছুর রহমান।
সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারাতে তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ হাত পাখাকে তিন কোটি টাকা দিয়েছে। তার এই বক্তব্যে ভাইরাল হয়। ওইদিন রাতেই বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন শরীফ আনিছুর রহমান।
নালিশী অভিযোগের বরাতে বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখার প্রাথী মুফতী ফয়জুল করীমের সমর্থন দেখে বিবাদী তার অজ্ঞাত নেতাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে হাতপাখার প্রার্থী প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন। প্রার্থীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ বক্তব্যের কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তার মিথ্যা বক্তব্যে নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছে, ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক আর্দশে অন্যায় আঘাত করার কারনে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি এবং সৌহার্দপূর্ণ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করিয়া বিশৃংখল অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পায়তারা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ঘোরাটে করে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আর্থ সামাজিক অবস্থা নষ্ট করার পায়তারা করছে।
আসামি ইসলামী আন্দোলনের অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত করে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করেছে।
(ঢাকাটাইমস/৭জুন/এআর)
সংবাদটি শেয়ার করুন
বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ এর সর্বশেষ
পলি জমে বন্ধের পথে উপকূলের একমাত্র নদী, মৎস্য বন্দর হুমকির মুখে

বগুড়ায় বেতন-ভাতার দাবিতে ইন্টার্ন নার্সদের কর্মবিরতি

সুফিবাদ হলো জ্ঞান ও সাধনার সমন্বিত পথ: সুফি মিজান

বান্দরবান পুলিশ লাইন্স স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

কামারগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক লুৎফর রহমানের দাফন সম্পন্ন

গজারিয়ায় সুপেয় পানির সংকটে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

সুনামগঞ্জে অটোচালক হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

শান্তি পেতে হলে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে: এমপি মকবুল

নোয়াখালীতে গণপূর্ত বিভাগের শতকোটি টাকার জায়গা উদ্ধার অভিযান
