লিচুর প্রলোভনে শিশু ধর্ষণ, কথিত ‘পীর’ গ্রেপ্তার
লিচু খাওয়ানোর প্রলোভনে সাত বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কথিত ‘পীর’কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার নাম ইকবাল শাহ সুন্নি আল কাদেরী। র্যাবের দাবি, রবিবার রাতে কাদেরীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় একজন ‘ভণ্ডপীর’।
একইদিন রাতে এলিট ফোর্সটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কুমিল্লার দেবিদ্বারে লিচু দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ভন্ডপীর ইকবাল শাহ সুন্নি আল কাদেরীকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আর ভুক্তভোগী শিশুটি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্তের ব্যাপারে বিস্তারিত সোমবার কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।’
গত ২ জুন দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে লিচু দেওয়ার কথা বলে নিজের আস্তানায় নিয়ে ধর্ষণ করেন ইকবাল। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়। এরপর আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যায় পীর।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম ইকবাল শাহ। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে।
পুলিশ বলছে, ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ঘটনার পর ওই পীর আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী শিশুটির মা বলেন, এলাকার একটি চক্র এ বিষয়ে তাকে মামলা না করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। তারা চেয়েছিল এ ঘটনার মীমাংসা করতে। পরে তিনি ৬ জুন রাতে দেবিদ্বার থানায় মামলা করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইকবাল শাহ নিজেকে পীর দাবি করে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিজ বাড়িতে ‘সাইচাপাড়া দরবার শরীফ’ নাম দিয়ে আস্তানা দিয়েছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, দরবার শরিফের নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন ভণ্ডপীর ইকবাল। বাড়িতে প্রায়ই গাঁজার আসর বসাতেন তিনি। মাঝেমধ্যে ওরশ করতেন। সেখানে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কাজ চলতো। তার এসব কাজে সহায়তা করতো স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। তাই তার অসামাজিক কর্মকাণ্ডে কেউ প্রতিবাদ করত না।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এসএস/কেএম)