সুগন্ধা নদীতে জাহাজ বিস্ফোরণ: চাঁদপুরের মাসুদের দাফন সম্পন্ন

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি সাগর নন্দিনী-২’ নামে তেলবাহী জাহাজ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঁদপুরের মাসুদুর রহমান বেলালসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হয় সোমবার। সন্ধ্যা ৬টায় ঝালকাঠি থেকে তার মরদেহ নিয়ে রওয়ানা দিয়ে চাঁদপুরে এসে পৌঁছায় মধ্যরাতে।
মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সোবানপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লাল গাজী।
তিনি বলেন, আমি নিজে জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলাম।
মাসুদুর রহমান ওই জাহাজের ইঞ্জিন ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে জাহাজের ৪ জনের সঙ্গে তিনিও নিখোঁজ ছিলেন।
তিনি সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাগড়া বাজার সোবানপুর গ্রামের সাদিকুর রহমানের ছেলে। পরিবার নিয়ে চাঁদপুর শহরের ছৈয়াল বাড়ি রোডে থাকতেন। মাসুদুর রহমান বেলাল দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে একটি প্রাইভেট মেডিকেলে শেষ বর্ষে এবং ছোট মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন।
গত ১ জুলাই শনিবার দুপুর ২টার দিকে সুগন্ধা নদীতে ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাটের বিপরীত পাশে নোঙর করা অবস্থায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির তেল বোঝাই ‘এমভি সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: চেয়ারম্যান বাবুর সহযোগী গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় ওই জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষের ওপরে থাকা মাস্টার ব্রিজটি পুরোপুরি ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। ওই ঘটনায় মাসুদুর রহমান বেলালসহ ৪ জন নিখোঁজ হন। সোমবার বিকাল পর্যন্ত নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/এসএম)

মন্তব্য করুন