হ্যাক নয়, কারিগরি ত্রুটিতে নাগরিকের তথ্য ফাঁস: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৪:২২| আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৪:৪৩
অ- অ+
ফাইল ফটো

সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি বরং সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এ সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণে যে কেউ ব্যক্তিগত তথ্য দেখার সুযোগ পেয়ে যান, এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।’

এদিকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের বিষয়ে আগামীকাল বৈঠক ডেকেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

এর আগে বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে খবর দেয় প্রযুক্তিবিষয়ক খ্যাতনামা ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ। এসব তথ্যের মধ্যে নাগরিকের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর রয়েছে।

গত ২৭ জুন এই তথ্য ফাঁসের বিষয়টি বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস ঘটনাক্রমে আবিষ্কার করেন বলে ৭ জুলাই রাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টেকক্রাঞ্চ।

‘বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ওয়েবসাইট লিকস সিটিজেনস পারসোনাল ডাটা শিরোনামের প্রতিবেদনে টেকক্রাঞ্চ বলেছে, ফাঁসের বিষয়টি আবিষ্কারের পর বাংলাদেশি ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগ করেন মার্কোপোলোস। তিনি জানান, ফাঁসের মধ্যে লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো বৈধ কি না তা টেকক্রাঞ্চ একটি পাবলিক সার্চ টুলের মাধ্যমে যাচাই করছে। তবে টেকক্রাঞ্চ সরকারি ওয়েবসাইটটির নাম জানায়নি। কেননা তথ্যগুলো এখনও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

টেকক্রাঞ্চ জানায়, অন্য কাজ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবেই এই ফাঁসের বিষয় ধরতে পারেন মার্কোপোলোস। তিনি বলেছেন, ডাটাগুলো পাওয়া খুব সহজ ছিল। তবে এটি খোঁজার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। এটা শুধু একটি গুগল সার্চের ফলাফল হিসেবে পেয়েছি। আমি গুগলে এসকিউএল ত্রুটি নিয়ে কাজ করার সময় এই তথ্যগুলো পেয়ে যাই।

বাংলাদেশে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতিটি নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, যা প্রত্যেক নাগরিককে একটি অনন্য পরিচয়পত্র প্রদান করে। কার্ডটি বাধ্যতামূলক এবং নাগরিকদের বিভিন্ন পরিষেবাতে অ্যাক্সেস দেয়, যেমন একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জমি কেনা-বেচা, একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং অন্যান্য।

(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/কেআর/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের বাড়িতে আ.লীগ নেতার হামলা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক
পুশ ইন ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার বিজিবির
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হবে না: আমিনুল হক 
বেগমগঞ্জে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত, বাবা আহত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা