কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি হাজারো মানুষের মানবেতর জীবন যাপন

কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। দুধকুমার নদের পানি ৫৪ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি।
এদিকে দুধকুমার নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় সড়ক তলিয়ে গিয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত ৩-৪ দিন ধরে বন্যায় প্লাবিতরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বাড়ির ভেতরে পানি ওঠায় তারা ঠিকমতো রান্নাও করতে পারছেন না। স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন বন্যাকবলিত এসব পরিবার।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার্তদের তালিকা করা হচ্ছে। এছাড়া বন্যাকবলিত ৮ শতাধিক পরিবারে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা টাইমসকে জানান, এই পানি বৃদ্ধির অবস্থা ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। তারপর পানি নেমে যাবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো বাঁধ বন্যায় ডুবে যায়নি বলে নিশ্চিত করে তিনি জানান, নাগেশ্বরী উপজেলায় একটি সড়ক সংস্কারের কাজ করেছে পাউবো। সেটির দুটি অংশ প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ঢাকা টাইমসকে জানান, ইতোমধ্যে ৬৫ মেট্রিক টন চাল উপজেলাগুলোতে উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমাদের কাছে ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল, ১০ লক্ষ টাকা ও ১ হাজার ৭শ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। আমরা বন্যার্তদের তালিকা করছি, তালিকা পেলে উপ-বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে গিয়ে বিলের পানিতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
শুক্রবার বিভিন্ন বন্যা এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসন থেকে ৮শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এসএম)

মন্তব্য করুন