১১ বছর হয়ে গেল হুমায়ূন আহমেদ নেই

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩, ১০:২৩ | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০২৩, ১০:০০

বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি মহাপুরুষ হুমায়ূন আহমেদ। দেশের নাট্য এবং চলচ্চিত্র জগতেও তার অসামান্য অবদান। বহু নাটক এবং বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র তিনি নির্মাণ করেছেন।

নিজের অসাধারণ লেখনি ও নির্মাণশৈলী দিয়ে তিনি বইপ্রেমী এবং নাটক-সিনেমাপ্রেমীদের মনে স্থায়ী আসন গেড়ে বসে আছেন। সেই কিংবদন্তি সাহিত্যিক ও নির্মাতার চলে যাওয়ার ১১ বছর হয়ে গেল।

সাহিত্য ও অভিনয় জগতের এই মহাপুরুষ দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। বহুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোকে ছেয়ে যায় গোটা সাহিত্য ও বিনোদন জগৎ।

প্রতি বছরই প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে সকাল থেকে তার হাতে গড়া নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় ভিড় করতে শুরু করেন ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা। ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেন জনপ্রিয় এই লেখক-নির্মাতাকে।

দিনটি উপলক্ষে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিমদের খাবার বিতরণসহ নেয়া হয় নানা কর্মসূচি।

এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নুহাশ পল্লীতে যেতে শুরু করেছেন তার ভক্তরা। হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমু ও নীল শাড়ি পরে রুপা সেজে হিমু পরিবহনের সদস্যরাও হাজির হচ্ছেন। কবরে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।

মৃত্যুর ১১ বছর পর আজও লাখো পাঠকের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। এখনো একুশে বইমেলায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকায় হুমায়ূন আহমেদ থাকেন উপরের সারিতে। তার নির্মিত অসংখ্য শিক্ষামূলক নাটক এখনো সমানভাবে বিনোদন দেয় দর্শকদের। তার নির্মিত সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘ঘেটুপত্র কমলা’ এখনো লাখো সিনেপ্রেমীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

হুমায়ূন আহমেদের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। তার বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। ১৯৭৩ সালে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন হুমায়ূন আহমেদ। পরের বছর যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে।

কিন্তু লেখালেখিতে পূর্ণ মনোযোগ দিতে একসময় চাকরি ছেড়ে দেন কিংবদন্তি এই সাহিত্যিক। নাটক নির্মাণে আসেন ১৯৮৩ সালে। ওই সময় বিটিভিতে প্রচারিত হয় তার পরিচালনায় প্রথম নাটক ‘প্রথম প্রহর’।

হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রথম সিনেমা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’। কর্মজীবনে ‘একুশে পদক’, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ ও ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’সহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন কিংবদন্তি এই কথাসাহিত্যিক এবং নির্মাতা।

(ঢাকা টাইমস/১৯ জুলাই/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :