অফিসে তালা, থানায় যাচ্ছে নুরপন্থী গণঅধিকার পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩, ১৬:১৬ | প্রকাশিত : ২০ জুলাই ২০২৩, ১৬:১০

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ের তালা ভেঙে নতুন কেচি গেট লাগানো হয়েছে এবং দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়সহ জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় জিডি করতে যাবে নুরপন্থী গণঅধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।

নুর বলেন, মিয়া মশিউজ্জামান আমাদের কার্যালয়ে গেটের সামনে নতুন আরেকটি কেচি গেট লাগিয়েছে। সেখানে ছাত্রলীগকে পাহারাদার হিসেবে বসিয়েছেন। তাদের হাতে অস্ত্র, আমরা গেলে আমাদের উপর হামলা করবে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা এখনো কার্যালয়ে যাইনি। যারা কার্যালয়ে গিয়েছেন তাদের মারধর করা হয়েছে, মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে।

নুর বলেন, কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান আমাদের অফিস দিয়েছিলেন। তিনি এখন দল করেন না, তাই চুক্তি অনুনয়ী অফিস ভাড়া দেবো। প্রথম দিকে তিনি নমনীয় ছিলেন। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন।

গেটে তালা দেওয়ার ঘটনায় নুর বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পল্টন থানায় যাচ্ছে। সেখানে জিডি করা হবে। যদি পুলিশ আমাদেরকে সহযোগিতা করে তাহলে কার্যালয় প্রবেশ করব। আর যদি সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের রক্ত দিয়ে, ঘাম দিয়ে কার্যালয়ে যেয়ে স্বাভাবিক কাজ চালাবো।

নুর বলেন, আমরা অফিস ভাড়া নিয়েছি, এখন যদি মালিক ভাড়া দিতে না চায় তাহলে চুক্তি অনুযায়ী ৬ মাস সময় দিক, আমরা নতুন অফিসে চলে যাবো।

শুরু থেকেই এই মাফিয়া সরকার (আওয়ামী লীগ) গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে নুর বলেন, ‘কখনো নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়েছে, কখনো হামলা-মামলা করেছে। বিভিন্ন সময়ে সমোঝোতা করার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ নিবন্ধন নিয়ে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছে। আমাদের বলা হয়েছিল আমরা যদি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাই তাহলে আমাদেরকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেবে। আমরা সমঝোতা করিনি বলে আমাদেরকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে এক ভিডিও বার্তায় মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘জামান টাওয়ারে গণ অধিকার পরিষদের অফিসে ঘর ছাড়ার যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং ১৭ মাসের ভাড়া বাকি থাকার কারণে তাদেরকে বলা হয়েছিল ঘর ছেড়ে দিতে। তারা সেটা শুনেননি। এজন্য প্রথমে তাদের বিদ্যুৎ লাইন কাটা হয় এবং মৌখিকভাবে তাদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবারও অনুরোধ করা হয়। তখন তাদের পক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভে বা পাবলিক মিটিংয়ে আমার ওপর নানা রকম বিষোদগার করা হয়। এই ঘরের মালিকানা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেন এবং একপর্যায়ে নুর ঘোষণা দেন যে, এটা তারা দখলে রাখবেন এবং আমি জমির মালিকানা সমন্ধে দলির হাজির করতে না পারলে তিনি এ ঘর ছাড়বেন না।

(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/জেবি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

উপজেলা নির্বাচন এখন উপজ্বালায় পরিণত হয়েছে: সালাম

তীব্র তাপপ্রবাহে জাপার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করবে জনগণ: প্রিন্স

কাল্পনিক কাহিনি বানিয়ে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন: দুদিনে আ.লীগের ১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পদ প্রাপ্তি নিয়ে নানা গুঞ্জন, প্রশ্ন

গরমে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে জাপার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠীর রোল মডেল, অভিযোগ রিজভীর

নেত্রীর জন্য জান নয়, সিদ্ধান্ত মানুন: দীপু মনি

দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় বিএনপি, আ. লীগ করে চুরি: ইশরাক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :