মাদককারবারি ধরতে গিয়ে ৩ পুলিশ সদস্য আহত, ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার

শেরপুরের নকলায় মাদককারবারি ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনায় মাদককারবারিসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে মাদককারবারি পিন্টু মিয়াকে (৩৫)। উদ্ধার করা হয়েছে ৮ কেজি গাঁজা।
শনিবার বিকেলে নকলা পৌরসভার ফেরুষা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পিন্টু ওই এলাকার ময়দান আলীর ছেলে।
আহত পুলিশ সদস্য ও মাদককারবারি পিন্টু মিয়াকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পিন্টুকে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ পাহারায় জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নকলা থানার এসআই বিপ্লব মোহন্ত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিন্টুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পিন্টুর সহযোগী আফরোজা বেগম ওরফে কবিতা (২৮) পালিয়ে যায়।
পিন্টুকে আটকের সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনায় তিনি নিজে এবং অন্য পুলিশ সদস্য সেলিম আহমেদ ও মাহমুদুল হাসান আহত হন। এ সময় পিন্টুর হেফাজতে থাকা একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় হলুদ রঙের স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ৪টি প্যাকেটে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
বিপ্লব মোহন্ত বলেন, পালিয়ে যাওয়া আফরোজার বাড়ি উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ভুরদী গ্রামে। তার স্বামীর নাম স্বপন মিয়া। বর্তমানে তিনি নকলা পৌরসভার জালালপুর মহল্লায় বসবাস করেন।
গ্রেপ্তারের পর ওই দিন রাতে পিন্টুকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ আফরোজাকে গ্রেপ্তার করতে জালালপুর মহল্লার ম্যানেজার মার্কেট এলাকায় যায়। সেখানে সিএনজি থেকে নামানোর সময় পিন্টু দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে জাপটে ধরে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে নতুন করে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে এস আই প্লুক চন্দ্র রায় ও পুলিশ সদস্য সুকান্ত দাস সড়কের নিচে পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে পথচারীদের চেষ্টায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
বিপ্লব মোহন্ত জানান, মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সুস্থ হলে পরবর্তীতে পিন্টুকে আদালতে হাজির করা হবে। অন্যদিকে আফরোজাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এআর)

মন্তব্য করুন