লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের ফাঁসি, ১৪ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২৩, ১২:৩১| আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৩, ১৪:৪১
অ- অ+

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আলোচিত যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।

রায়ের সময় আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

নিহত মামুনুর রশিদ সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম, কাউছার ওরফে ছোট কাউছার।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম। এ মামলায় মো. সোহেল ও গোলাম রাব্বী নামে দুজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, রাজনীতি ও সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত থাকায় তখনকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এতে জিসান বাহিনীর সদস্যরা মামুনকে হত্যার জন্য হুমকি দিতো। পরে জিসান র‍্যাবের হাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এতে জিসানের ছোটভাই তুহিন সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান হয়ে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছিল। আর এ সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করে মামুন ও পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ওমর ফারুক।

এদিকে সন্ত্রাসী জিসান হত্যার ঘটনায় মামুন ও ওমর ফারুক নামে আরও এক ব্যক্তিকে দায়ী করে তুহিন। এ কারণে তুহিন সন্ত্রাসী বাহিনীর সক্রিয়দের নিয়ে মামুন ও ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৫ সালের ১৮ মে রাতে মোটরসাইকেলে মামুন চাটখিলের দেলিয়ার বাজার থেকে বাড়ির দিকে আসছিলেন। পথে আসামিরা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামে তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরদিন মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হাক্কানি আদালতে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে মামুন হত্যার সাড়ে ৩ মাস পর একই আসামিরা ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামে ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ফারুকের স্ত্রী বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামুন হত্যার তদন্তকালে ফারুক হত্যার ঘটনাটিতে আসামিদের জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
"হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামে পাঠানো হবে!" — চাঁদাবাজি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি
মিডফোর্ডের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপিকে দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন
মিডফোর্টে পাথর মেরে হত্যা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: জামায়াত
মিটফোর্ড হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বিএনপি মহাসচিবের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা