মেঘনায় বন্ধ বালুমহাল ফের চালু, ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদী ভাঙনের মুখে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বালুমহালের ইজারা। প্রায় ১৫ বছর পর হঠাৎ করে আবারও ইজারা দেওয়ার ফলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা নয়ানগর, চর রমজানবেগ, ষোলআনী ও চর কালীপুরা গ্রাম আবারও ভাঙনের মুখে। অবিলম্বে বালুমহাল ইজারা দ্রুত বন্ধ চান উপজেলার আটটি ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী।
বালুমহাল বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন জানান গজারিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
জনপ্রতিনিধিরা বালুমহাল বন্ধের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে বলেন, নদীবেষ্টিত আমাদের উপজেলায় বিগত প্রায় ১৫ বার জনগণের প্রতিবাদের মুখে নদী ভাঙনের ফলে বালুমহালের ইজারা বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ জানতে পারি আবারও নতুন করে নয়ানগর, রমজান বেগ, ষোলআনী ও চর কালীপুরা বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখিত বালুমহাল হতে বালু উত্তোলন করলে অতীতের মতো আবারও ফসলি জমি এবং বহু গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত বছরগুলোতে মেঘনা নদীতে বালুমহাল ইজারার কারণে নদীর তীরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে অনেকের বসত ভিটি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অসংখ্য পরিবার একমাত্র সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসেছে। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেঘনা নদীর মহালের ইজারা বাতিল করে। কিন্তু হঠাৎ করে একটি প্রভাবশালী চক্র আবারো মেঘনা নদীতে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে। তাদের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধ কথা বলার সাহস পান না। তাদের বিরুদ্ধাচরণ করলেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এর ফলে নদীর পাড়ে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর বিলীন হয়েছে।
তারা মনে করেন, উপজেলা প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত না করেই প্রভাবশালীদের চাপ কিংবা অর্থের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। না হয় গণবিরোধী এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই নিতে পারে না উপজেলা প্রশাসন । জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, তাদেরকে নদীর মাঝ থেকে বালু উত্তোলন করতে বলা হয়েছে। নদীর তীরে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করলে আমাকে জানালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এআর/এসএ)

মন্তব্য করুন