লিটনের পোড়া পাউরুটি ও চায়ের স্বাদ নিতে চা-প্রেমীদের ভিড়

সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ, কুষ্টিয়া
 | প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ২০:৪৪

কুষ্টিয়ার শহরতলীর দবির মোল্লা রেলগেট এলাকায় ঢাকা রোড সংলগ্ন প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত লিটনের দোকানে বিশেষ ধরনের চা ও পাউরুটি বিক্রি করা হয়। পোড়ানো পাউরুটি ও চায়ের স্বাদ নিতে প্রতিদিনই ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

লিটনের দোকানের প্রতি কাপ চায়ের দাম ২৫ টাকা। তবে নারকেলের মালোই পরিমাণ ভেদে ৩০ টাকা ও ৫০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। বিকাল থেকে দোকানে চা-প্রেমীদের ভিড় জমে। কিছু সময় অপেক্ষা করে নিতে হয় চায়ের স্বাদ। এভাবে বেচাকেনা চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।

লিটনের চা ও পাউরুটি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই চায়ের দোকান খোলা থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে চা পান করতে আসেন অসংখ্য মানুষ। তবে বিকাল থেকে সন্ধ্যার দিকে দোকানে ভিড় অনেক বেশি থাকে।

লিটন (৩৪) কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া দবির মোল্লার রেলগেট এলাকার মৃত মজিবুর মোল্লার ছেলে। এই চা তার ভাগ্য বদল করে দিয়েছে। তার দোকানে প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ হাজার টাকার চা বিক্রি হয়।

আইরিন তার হাজব্যেন্ডের সঙ্গে নিয়ে পোড়ানো পাউরুটি ও দুধ চা খেতে এসেছিলেন। আইরিন বলেন, রোডের পাশে সুন্দর পরিবেশে দুধ চা ও পোড়া পাউরুটি খেতে খুবই ভালো লাগছে। আমরা আজকে প্রথম এসেছি। আমাদের মতো অসংখ্য মানুষ বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত লিটন মামার দোকানে আসেন।

ব্যস্ততম এই চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, লিটন চা তৈরি ও পাউরুটি পোড়ানোর কাজে ব্যস্ত। চুলার পাশে লিটনকে ঘিরে রেখেছেন ক্রেতারা। তারা কেউ পাউরুটি, কেউ চা, কেউ কাচের কাপ, কেউ নারকেলের মালোইয়ে চায়ের অর্ডার দিচ্ছেন। দোকানে তার কোন কর্মচারী নেই। লিটন নিজেই সবকিছু করছে। চা প্রেমীদের ভিড়ে তাদের ফুরসত নেই। কিছু সময় অপেক্ষার পরে চা-পাউরুটি হাতে পেয়ে কেউ চুমুক দিচ্ছেন, কেউ সেলফি তুলছেন।

চা বিক্রেতা লিটন বলেন, আমি আগে সিকিউরিটি কোম্পানির আন্ডারে একটি ব্যাংকে বুথে চাকরি করতাম। সেই চাকরি যে টাকা বেতন পেতাম সেই বেতনে সংসার চলতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে দবির মোল্লার রেলগেট মোডে এসে লাল চা বিক্রি করতেন শুরু করি। এরপর সিকিউরিটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে লাল চা সাথে দুধ চা বিক্রি করতে থাকি। আল্লাহর রহমতে ভালোই চলছে ব্যবসা।

তিনি আরও বলেন, দবির মোল্লার রেলগেট বাজারে গত ১০ বছর আগে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছি। নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চিনি দিয়ে পাউরুটি পোড়ানো ও চা তৈরি করি। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজি দুধ দিয়ে চা তৈরি করি। আশেপাশের ও দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার দোকানে চা খেতে আসেন। বিকাল থেকে রাত ১২ পর্যন্ত চা-প্রেমীদের ভিড় বেশি থাকে। তবে ছুটির দিনে চায়ের চাহিদা বেড়ে যায়। পরিমাণ ভেদে প্রতি কাপ চা ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ হাজার টাকার বিক্রি হয়। স্ত্রী আর এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে আমাদের সংসার সুখে-শান্তিতে চলছে।

সেলিম হক বলেন, পরিবারেরর সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়ে চা খেতে এসেছি। খুব ভিড়। প্রায় আধা ঘণ্টা আগে সিরিয়াল দিয়ে চা হাতে পেয়েছি। মানুষের মুখে শুনে এখানে এসেছি। আজকে ভালো লাগলে আগামীতে বন্ধুরা দলবেঁধে চা খেতে নিয়ে আসবো।

স্থানীয়রা বলেন, লিটন ভাইয়ের চায়ের স্বাদ স্বাভাবিক চায়ের চেয়ে অনেক বেশি ভালো। প্রতিদিন বিকাল থেকে আশেপাশের এলাকার মানুষ এখানে চা খেতে আসেন। বিকাল থেকে রাত ১২ পর্যন্ত কাস্টমার আসে। চায়ের ব্যবসা করে সফল ও সচ্ছল হয়েছেন এখন লিটন।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ডোমারে বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক 

ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে দুই কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় দশ কেজি গাঁজাসহ দুই  মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি

মফস্বল সাংবাদিকেদের ওয়েজ বোর্ডের আওতার আনার দাবি

আ.লীগ বিভ্রান্তিকর কথা বলে নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করছে: প্রিন্স

‘ওরাল ক্যান্সার’ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর

‘মনে হয় আত্মহত্যা করি, তাতে যদি বেঁচে যাই!’

ফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সাতক্ষীরা মেডিকেলের ডা. মাহমুদুল হাসান

গাজীপুরে দুর্ঘটনা: দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :